ডুমুরিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত, পোড়ানো এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আরো ৭টি ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ও একটি ভাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা ধার্য এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল­ী নিষ্ক্রীয় করা হয়। 
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান।
অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলোর মধ্যে উপজেলার  কুলবাড়িয়া-বরাতিয়া এলাকায় অবস্থিত আব্দুল হাই বাহার’র মেসার্স বাহার ব্রিকস’র চুল­ী ভেঙে দেয়া হয় এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল­ী নিভিয়ে নিষ্ক্রীয় করা হয়।
খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দার মালিকানাধীন নুরজাহান ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, রানাই এলাকায় অবস্থিত মশিউর রহমানের মালিকানাধীন মেরী ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা ও আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের মালিকানাধীন জে.বি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, আমিনুর রশিদ'র মালিকানাধীন লুইন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, চহেড়া এলাকার গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকসে ১ লাখ, শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা এবং জেসি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকাসহ  জরিমানা সহ মোট ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য পূর্বক আদায় করা হয়।এ সময় অধিকাংশ ইটভাটার জ্বলন্ত চুল­ীতে পানি ছিটিয়ে নিষ্ক্রীয় করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শোলমারী নদী তীরবর্তী এন, কে, বি ব্রিকসে ৫ লাখ টাকা, এস বি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা এবং সেতু ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে আদায় করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ বেশি সময়  ধরে উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পরিবেশ দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।