খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে জটিলতা, অবসান জরুরি

|
১১:৫৬ পি.এম | ১১ জানুয়ারী ২০২৫


২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা নিরসনে ধর্ম উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতারা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ইতোমধ্যে কোটা সংকট পুরো হজ ব্যবস্থাপনাকে সংকটে ফেলেছে। গত বছর এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জনের কোটা ছিল, যা এ বছর ৫০০ করা হয়। সৌদি সরকারের সা¤প্রতিক নির্দেশনায় এটি এক হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। তবে হজ নিবন্ধনে সাড়া না মেলায় এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন এজেন্সি ও হজযাত্রীদের জন্য গুরুতর সংকট তৈরি করবে। এ সময় তারা অনলাইনে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু রাখারও দাবি জানান। এদিকে সরকার বলছে, সেবাদানকারী কোম্পানি নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা সংরক্ষণ, মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা আগামী ১৪ ফেব্র“য়ারি শেষ হয়ে যাবে, অথচ হজ এজেন্সিগুলো এখনো চুক্তিই শুরু করতে পারেনি। এর মধ্যে সরকার হজ এজেন্সির কোটা নিয়ে বারবার সৌদি সরকারের কাছে অনুরোধ করার কারণে বিরক্তিও প্রকাশ করেছে তারা।
উলে­খ্য, গেল বছর সৌদি আরব হজের পূর্ণ কোটা প্রদানসহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশনের কাজ অনেক সহজ করে দেয়। হজযাত্রীদের জন্য কষ্ট লাঘবের এত উদ্যোগ সত্তে¡ও সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজের নিবন্ধনে এ বছর আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি সরকার তাদের নীতিমালা অনুযায়ীই হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আমাদের দেশের সরকারও রাষ্ট্রীয় আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হজ কার্যক্রম পরিচালনার পদক্ষেপ নেয়। সেক্ষেত্রে সৌদি সরকারের কোনো পদক্ষেপ যদি আমাদের আইন-কানুনের সঙ্গে সাংঘার্ষিক হয়, ক‚টনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তা সমাধান করা সরকারেরই দায়িত্ব। ভুলে গেলে চলবে না, প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন থাকে, একবারের জন্য হলেও হজ পালন করা। তারা এ মহান কাজটির জন্য বিভিন্ন এজেন্সি মালিক এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করেন। কাজেই তারা যেন হজ সুন্দর ও সুচারুরূপে সম্পাদন করতে পারেন, সেজন্য এজেন্সিসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতা জরুরি। সরকার এ সমস্যা নিরসনে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।