খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

খালের মাছ চুরি, মারপিট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

পাইকগাছায় বিএনপি নেতার ভাই আজাদ ও তার সহযোগী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৭ এ.এম | ১৩ জানুয়ারী ২০২৫


পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর জলমহলে মাছ চুরি, মারপিট ও বাসাবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি নেতার ভাই এম আজাদ হোসেন ও তার সহযোগী আবুল হোসেন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ একরামুল হক বিশ্বাস জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এম আজাদ হোসেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু’র ভাই বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে শেখ এনামুল হোসেন নাছিরপুর জলমহলটি সরকারের নিকট থেকে ইজারা গ্রহণ করে ঘের পরিচালনা করে আসছেন। ঘের পরিচালনাকালে শেখ এনামুল হোসেন পড়াশোনার সুবাদে বাড়ির বাইরে অবস্থান করায় তার ভাই শেখ নাজমুল হোসেন ওই মৎস্য ঘেরটি পরিচালনা করেন। ওই জলমহল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে আজাদ মোড়লের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল জলমহলটি দখল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘেরে প্রবেশ করে মাছ মারতে থাকে। এ সময় ঘের কর্মচারী হোসেন মলি­ক বাধা প্রদান করলে তাকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত অবস্থায় হোসেন মলি­ককে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তিতে একই বছর ২১ অক্টোবর ভোরের দিকে পুনরায় জলমহলের বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় শেখ নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে কাশিমনগর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল মোড়লের ছেলে আজাদ মোড়ল, রেজাকপুর গ্রামের হায়দার গাজীর ছেলে রাহান গাজী, মৃত ইউনুচ গাজীর ছেলে আবুল হোসেন ও আজর গাজীর ছেলে রাসেল গাজীসহ ২৫ জনের নাম উলে­খ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের নামে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি পাইকগাছা থানাকে এজাহারের জন্য আদেশ প্রদান করলে ২২ অক্টোবর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন।
মামলায় আজাদ মোড়ল ও তাদের অন্যতম সহযোগী আবুল হোসেন রোববার পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।