খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানি-রপ্তানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৩ এ.এম | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫


আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ছাড়ের জন্য সব ধরনের সনদ অনলাইনে জমা দিতে হবে। জানুয়ারির পর থেকে পণ্যের চালান শুল্কায়নের জন্য ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে না।
মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে সই করেছেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস: রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) মোয়াজ্জেম হোসেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘৩১ জানুয়ারির পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ৭টি সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডোর (বিএসডব্লিউ) মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো। ওই তারিখের পর কোনো ধরনের ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট গ্রহণ করা হবে না।’
এনবিআর জানিয়েছে, সংস্থাটির অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় বিএসডব্লিউ সিস্টেম ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের (সিএলপি) জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সিএলপি গ্রহণের আগে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে নিবন্ধন করতে হবে।
এনবিআর মনে করছে, এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে একটি কমন প্ল্যাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে; সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে; পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে; দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
এনবিআরের তথ্যমতে, প্রাথমিক পর্যায়ে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার সমন্বয়ে এই বিএসডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি সংস্থার ক্ষেত্রে ২ জানুয়ারি থেকে বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে সিএলপির আবেদন দাখিল ও ইস্যুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কার্যক্রম শুরু করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ); রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি); বিস্ফোরক অধিদপ্তর (ডিওইএক্স); বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপন্স কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি); বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা); বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই)।