খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

নিজ বাসায় বিএনপির সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:২৩ পি.এম | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫


রাজশাহীতে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম মো. আলাউদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত একটার দিকে পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকায় নিজ বাসায় তাকে গুলি করা হয়। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আলাউদ্দিন পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে ও নওহাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।

পূর্ব শত্রুতার জেরে আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে সালাহউদ্দিন মিন্টু। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শাহমখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরকারের নেতৃত্ব শিপলু, সোহাগ, ওবায়দুল্লাহ ও আবদুল্লাহসহ কয়েকজন পাঁচটি বাইক নিয়ে আসেন। তারা আমাকে হত্যার জন্য আসে। এ সময় আমার বাবা দরজা খুললে তারা সরাসরি আমার বাবাকে গুলি করে। গুলিটি তার কোমরে লেগেছিল। গুলিতে বাবা গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সালাহউদ্দিন মিন্টু আরও জানান, তাদের এলাকায় দুপক্ষের টাকা-পয়সা নিয়ে একটা বিরোধ ছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাতে উভয়পক্ষ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একপক্ষের একটি ছেলে তার ‘ছোট ভাই’। এজন্য তিনিও গিয়েছিলেন। থানায় মীমাংসাও হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফেরেন। এর আধা ঘণ্টা পরই তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, আলাউদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন চলা অবস্থায় মারা যান তিনি।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি ফারুক হোসেন জানান, ‘দুই পক্ষ থানায় একটি আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিল। তারপর নাকি একপক্ষ গিয়ে মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। ঘটনাস্থল পড়েছে শাহমখদুম থানা এলাকায়। এ বিষয়ে শাহমখদুম থানা-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’

শাহমখদুম থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে আলাউদ্দিন মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে।’

এ ঘটনায় কেউ আটক হয়েছেন কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা তদন্তের স্বার্থে এটা বলছি না।’