খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

মোংলার সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত, আহত ৩

মোংলা প্রতিনিধি |
০১:২৮ পি.এম | ১৬ জানুয়ারী ২০২৫


মোংলা-রামপাল মহাসড়কের ওপর স্তুপ করে রাখা পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে ভটভটি (নছিমন) উল্টে ৭ শ্রমিকের মধ্যে দুই জন নিহত হয়েছে। এসময় রক্তাক্ত জখম হয়েছে আরো ৩জন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোংলা-রামপাল সড়কের চাপড়া মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। সড়কের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের খামখেয়ালী মতো পাথরের স্তুপ রাখার কারনেই এ দুর্ঘটনা বলে দাবী স্থানীয়দের।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী খুলনার লাউডোপ থেকে ধান কেটে ভটভটি (নছিমন) যোগে মোংলার আসছিলেন কয়েকজন কৃষক। পথিমধ্যে সেলিম নামের এক মহাজনের একটি মিলে সেই ধান নামিয়ে দিয়ে রাতে উপজেলার সোনাইলতলা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় চাপড়া মোড় এলকায় সড়কের উপর স্তুপ করে রাখা পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে ভটভটিটি উল্টে যায়। এতে ভটভটির ড্রাইভারসহ ঘটনস্থলেই দুইজন নিহত হয়। আহত হয় ভটভটিতে থাকা অন্য তিন শ্রমিক।

তারা হচ্ছে, সোনাইলতলা এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলী শেখ’র ছেলে রোকন উদ্দিন খোকন (৬০, দাকোপের বানিয়া শান্তা এলাকার মৃত জাফর মোল্লার ছেলে দিদার মোল্লা (৩২), সোনাইলতলা আফজাল সরদারের ছেলে আইয়ুব সরদার (২৭), শাহজাহান মল্লিকের ছেলে মিলন মল্লিক (৪০) ও একই এলাকার মৃত সামাদ মল্লিকের ছেলে অহেদ মল্লিক (৪৫)। এর মধ্যে রোকন উদ্দিন খোকন ও দিদার মোল্লা নিহত হয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি বানিয়াশান্তা ও সোনাইলতলার বিভিন্ন এলাকায়। আহতদেরকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একজনের অবস্থা অশংকজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বুলেট সেন বলেন, মোংলা-রামপাল সড়কে এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ধান কাটার জন্য এসকল শ্রমিকরা বাড়ি ফেড়ার পথে নিহত ও আহত হয়েছে। তার মধ্যে দুজন কিছুটা ভাল অবস্থানে থাকলেও দুইজন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তবে অবস্থা অবনতি হলে তাদেরও খুলনা পাঠানো হবে।

মোংলা থানার অফিসার রইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তা আহতদের হাসপাতালে আনা হয় এবং নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের আপত্তি না থাকায় নিহতের লাশ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।