খুলনা | শনিবার | ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা খান এ সবুরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০১ এ.এম | ২৫ জানুয়ারী ২০২৫


বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খ্যাতিমান পার্লামেন্টারিয়ান, পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী খুলনার কৃতি সন্তান খান এ সবুরের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ বেলা ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউজ সংলগ্ন সবুর লজে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইছালে সওয়াব অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খান এ সবুর স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর ফকির রেজা উদ্দিন। প্রধান অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান। বিশেষ অতিথি থাকবেন মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড, শফিকুল আলম মনা ও মহানগর মুসলিম লীগের সভাপতি শেখ জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে নগরীর হোটেল গোল্ডেন কিংয়ে খান এ সবুর স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় দিবসটি সফল ভাবে পালনের জন্য মরহুম খান এ সবুরের রাজনৈতিক অনুসারী, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণের আহŸান জানানো হয়।
১৯১১ সালের ১ ফেব্র“য়ারি সাবেক খুলনা বর্তমান বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আট টাকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা নাজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন আইনজীবী।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট সাবেক খুলনা জেলা বর্তমান বাগেরহাট, সাতক্ষীরার হিন্দুস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তখন খান এ সবুর রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করেন এবং বাউন্ডারী কমিশনে আপিলের মাধ্যমে ১৯৪৭ এর ১৭ আগস্ট বিকেলে অল ইন্ডিয়া রেডিও ঘোষণা করেন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় আজকে এ অঞ্চল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অংশ।
মরহুম খান এ সবুর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ও তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ছিলেন। খান এ সবুরের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ৮ আগস্ট মুসলিম লীগ পূর্ণগঠিত হয়। খান এ সবুর ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩টি আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে এ দেশে সংসদীয় রাজনীতির বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এর পূর্বে কেউ ৩টি আসনে বিজয় হননি।
খান এ সবুর ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদ খান এ সবুর ট্রাস্ট নামে জনকল্যাণে দান করে যান। তারই অংশ হিসেবে ঢাকার বাড়িতে আজ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত।