খুলনা | শুক্রবার | ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১

নিম্নে সবজির বাজার, চূড়ায় চাল ও ভোজ্য তেল

আল মাহমুদ প্রিন্স |
০১:১৮ এ.এম | ৩১ জানুয়ারী ২০২৫


খুলনায় সবজির বাজার নিম্নে থাকলেও চূড়ায় রয়েছে চাল ও ভোজ্য তেলের বাজার। সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নাগালের বাইরে রয়েছে সবধরনের চাল ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা সাঁটানো ও বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকলেও কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের বাজার। হু-হু করে বেড়ে চলেছে এ পণ্য দু’টির মূল্য। চালের মূল্য কেজিপ্রতি ছয় থেকে সাত টাকা এবং ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য লিটার প্রতি তিন টাকা ও কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম স্বাভাবিক অবস্থায় না থাকায় বিপাকে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ। লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্তভোগীরা। 
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা, শীতকালীন শীম ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে লাগামহীন বেড়ে চলেছে চালের দাম। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা। বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫৪ টাকা, আঠাশ বালাম ৬৫ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭৫ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, কালোজিরা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে মূল্য তালিকায় চূড়ায় রয়েছে ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ টাকা দরে। অথচ গেল বছর ২০ নভেম্বর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভোজ্য সয়াবিন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। 
নগরীর এ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা মোঃ আবু জাফর শেখে বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকলেও কমছে না চাল ও সয়াবিন তেলের দাম। ব্যবসায়িরা অধিক লাভের আশায় তারা ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া একাধিক ক্রেতার সাথে কথা বললে তারাও একই মতামত ব্যক্ত করেন।