খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

হালনাগাদে মিললো ১০ লাখের বেশি মৃত ভোটারের তথ্য, নতুন যুক্ত হচ্ছেন ৫০ লাখ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫২ এ.এম | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কার্যক্রমে ১০ লাখের মতো মৃত ভোটারের তথ্য মিলেছে, যারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। বাকি ৩৭ লাখ নতুন ভোটার হিসেবে যোগ হবেন।
তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন সোমবার কার্যক্রম শেষে নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার ছিল তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২ ফেব্র“য়ারি) পর্যন্ত ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আর নতুন করে ভোটার হবেন এমন ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। সোমবারের তথ্য এখনো যোগ হয়নি। তাই এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।
এর আগে ২০২২ সালে হালনাগাদের সময় সর্বোচ্চ ২২ লাখ বেশি মৃত ভোটার বাদ যায়। তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমে ৫ ফেব্র“য়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করার তথ্য থাকবে হালনাগাদে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।
এক সতর্কবার্তায় ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
নতুন ভোটার : চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমে ৫০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হালনাগাদে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ জন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। ৬১ লাখ ৮৯ হাজার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
ইসি সচিব বলেন, সোমবার (৩ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত) বাদ পড়া ভোটার বাড়ানোর হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অতীতে যারা ভোটার হতে পারেনি তাদের হার এটা। আর নতুন যারা ভোটার হবেন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি তাদের হার হলো ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট বাড়ানোর হার সেই হিসাবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১৫ লাখ ২৩ হাজার। আগামী বুধবার (৫ ফেব্র“য়ারি) এই ডাটা পরিবর্তন হবে। গতবারের চেয়ে এখনো পর্যন্ত কম। কেন কম তা নির্দিষ্ট ভাবে বলা মুশকিল। এখনো মাঠ থেকে ফিডব্যাক কম। আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পারলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেকের বাড়িতে গিয়েছেন, না পাওয়ায় ফোন নম্বর দিয়ে গেছেন। তবে যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার হতে পারবেন সরাসরি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে। এছাড়া অনলাইনে এরপরেও তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। যারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন, জানার চেষ্টা করবো কেন যাননি। তাহলে সেই ক্রটি পূরণের চেষ্টা করবো। নারী ভোটারের সংখ্যা এবার বেড়েছে। বাদ পড়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ, নারী ১৬ লাখ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।