খুলনা | বুধবার | ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ইউজিসির সাবেক সচিব ফেরদৌস বরখাস্ত

খবর প্রতিবেদন |
০২:১০ এ.এম | ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সচিব ড.  ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি কমিশনের পূর্ণ কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফেরদৌস জামানকে রিসার্চ সাপোর্ট এ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক পদে বদলি করা হয়।
এদিকে ইউজিসির সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, কমিশনের সাবেক সচিব (বর্তমানে আরএসপি বিভাগের পরিচালক) ড. ফেরদৌস জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে সত্যতা নিরূপণের নিমিত্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মোঃ আবদুল মজিদকে আহ্বায়ক করে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদ উদ্দিন এবং কমিশনের উপ-সচিব (লিগ্যাল) নুরনাহার বেগম শিউলীর সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো-ইউজিসি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে ড. ফেরদৌস জামান যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এমনটি একাধিকবার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্তে¡ও তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে বারবার পদোন্নতি দিয়ে, চাকুরি স্থায়ী করে, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক বিচ্যুতি যা চাকুরি শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লংঘন। তাই এ বিষয়ে পূর্ণ কমিশনের সভায় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
পর্যবেক্ষণের আলোকে কমিশনের সভায় ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ড. ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করে আইনি বিষয়গুলো পৃঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য বলা হয়। এ বিষয়ে কমিশনের লিগ্যাল সেলের মতামত/পরামর্শ গ্রহণ করে বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।