খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৩ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, কক্ষ ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০১:৪৫ এ.এম | ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাসে শুক্রবার রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মারধর, কক্ষ ভাঙচুর, অস্ত্র প্রদর্শন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়াও, হামলাকারীরা নগদ টাকা ছিনতাই করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রোববার যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রকৌশলী রশিদুল আমীনের কাছে প্রদান করা হয়, যেখানে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
যশোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কীভাবে ইনস্টিটিউটের গেট, শহিদ মিনার পার করে ছাত্রাবাসে হামলা চালাল তা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাস ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। 
ছাত্রদলের দেওয়া স্মারকলিপিতে হামলায় জড়িত পাঁচজন ছাত্রলীগ কর্মীর নাম উলে­খ করে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। তারা হলেন, রকি (কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট, ৭ম সেমিস্টার), তারিম (টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট, ৭ম সেমিস্টার), আলভি (কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট, ১ম সেমিস্টার), নুর আলম (ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, ৩য় সেমিস্টার), মাহিম (সিভিল ডিপার্টমেন্ট, ৩য় সেমিস্টার)।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায়, ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। 
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মতিন হাওলাদার জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে আছেন প্রকৌশলী রশিদুল আমীন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী রশিদুল আমীন বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাশের দু’টি কক্ষ থেকে উচ্চস্বরে গান শোনা নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে কিছু শিক্ষার্থী বাইরে গিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে আসে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান করা হয়েছে পবিত্র কুমার বিশ্বাসকে।
হল সুপার প্রকৌশলী ওলিয়ার রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে আসলে ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।