খুলনা | শুক্রবার | ২০ জুন ২০২৫ | ৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিনম্র-শ্রদ্ধায় খুলনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

তথ্য বিবরণী |
১২:৫৭ পি.এম | ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিনম্র শ্রদ্ধায় খুলনায় মহান শহিদ দিবস ও
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
তথ্য বিবরণী
বিনম্র শ্রদ্ধা, ভাবগাম্ভীর্য এবং যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যদিয়ে খুলনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে গত শুক্রবার। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন, কেসিসি, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠণের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। 
একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে শহিদ মিনারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, কেসিসি’র প্রশাসক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, জেলা পরিষদ, খুলনা বেতার, কেডিএ, চেম্বার অব কমার্স, আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা, খুলনা প্রেসক্লাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই প্রভাতফেরি সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। 
নগর ভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। 
মহান শহিদ দিবস উপলক্ষে বাদজোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ নগরীর সকল মসজিদে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ-শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও একুশের পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।  
দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান-কাম-উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
সন্ধ্যায় শহিদ হাদিস পার্কে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়া পাঠ, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। 
খুলনা সিটি কর্পোরেশন : দিবসটি পালন উপলক্ষে দিবসের প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে কেসিসি প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকারের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্কস্থ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কেসিসি’র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি শহিদ হাদিস পার্কসহ সড়কসমূহ বাংলা বর্ণমালা ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়। 
সকালে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম-সচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। 
কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জাশান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস কে এম তাছাদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল­া মারুফ রশীদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মাজেদ মোল্যা, স্টোর সুপার উজ্জ্বল কুমার সাহা, সাইলেন্স অফিসার (বাণিজ্য) খান হাবিবুর রহমান সহ কেসিসি’র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম। 
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৬.৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালোব্যাজ ধারণ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান কর্তৃক কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সেখানে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। 
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনার প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান (বাংলা) প্রফেসর মোঃ আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। সভার শুরুতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। 
দিবস উদ্যাপন কমিটির আহŸায়ক এবং বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক আইরিন আজহার ঊর্মি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও প্রশাসন ভবন সংলগ্ন মসজিদে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিকেল ৪টা থেকে ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অদম্য বাংলা সংলগ্ন মঞ্চে ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের প্রযোজনায় নাটক ‘লাল জুলাই’ মঞ্চায়িত করা হবে। 
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষে প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ^বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষে ডীনগণ ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে সাথে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম। পরে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম এ রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, শহিদ স্মৃতি হল, কর্মচারী সমিতি, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতি এবং কুয়েটের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ১০টায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এস এম সাইফুর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষে মোঃ আব্দুল হালিম। 
এছাড়া, দিবসটি পালন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, আসরবাদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহিদগণের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবস উপলক্ষে শুক্রবার প্রথম প্রহরে হাদিসপার্কস্থ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেজাউল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি : দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন। পরে তারা শহিদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণর করেন। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্ট্যাডিজের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রউফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর কানাই লাল সরকার ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ডীন (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ  ইনজামাম-উল-হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোল­া আমীর হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আনিছুর রহমান, প্রক্টর শাকীল আহমদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহকারি প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সহকারী পরিচালক (জন সংযোগ) মিনা অছিকুর রহমান দোলন। 
খান বাহাদুর আহ্ছানউল­া বিশ্ববিদ্যালয় : দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণপূর্বক প্রভাত ফেরীতে অংশ গ্রহণ করে এবং শহিদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহমুদ আলম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আর্শেদ আলী মাতুব্বর, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান, সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রথীন্দ্রনাথ মহলদার, বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাদা আল সাদিকসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 
খুলনা বিএনপি: ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর শহিদ হাদিস পার্কের শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। 
এর আগে সুর্যোদয়ের সাথে সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। পরে সকাল ৭টায় নগরীর ধর্মসভা মোড়স্থ গোলকমনি শিশু পার্কে দলের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু’র নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্কের শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।  
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, শেখ আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, রবিউল ইসলাম রবি, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, তরিকুল­াহ খান, ইশহাক তালুকদার, মোস্তফা কামাল, মাহবুবুল হক, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, আব্দুল জব্বার, আশরাফ হোসেন, জাহিদ কামাল টিটো, মিজানুর রহমান খোকন, রফিকুল ইসলাম শুকুর, ওমর ফারুক, শামসুর রহমান, মাহবুব হোসেন, জাকারিয়া লিটন, হুমায়ুন কবির, লিটু পাটোয়ারী, আব্দুল হাকিম, ওমর ফারুক বনি, আলমগীর ব্যাপারী, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মাজেদা খাতুন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মিজানুজ্জামান তাজ, এড. রফিকুল ইসলাম, শামীম খান, নুরুল ইসলাম লিটন, কাজী ফয়জুল কবির টিটো, আলমগীর হোসেন আলম, মনিরুজ্জামান মনির, আল বেলাল, এড. আবুল হোসেন, আলম হাওলাদার, মোস্তফা জামান মিন্টু, আব্দুর রব মুন্সি, শাকিল আহমেদ, আবু তালেব, ওহাব শরীফ, গৌতম দে হারু, সাখাওয়াত হোসেন, খান রাজিব আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, মাহিম আহমেদ রুবেল, রাজিবুল আলম বাপ্পি, সেলিম বড় মিয়া, পারভেজ মোড়ল, মাহমুদ হাসান মুন্না, মাসুদ রেজা, তরিকুল আলম, সৈয়দ গাজী, এ আর রহমান, সামসুল আলম বাদল,  আসাদ সানা, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, টিপু হাওলাদার, এম এ হাসান, খায়রুল বাসার, কামরুল ইসলাম খোকন, শহিদুল ইসলাম, খালেক গাজী, ফজলুর রহমান, কাজী সেলিম, মারুফুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
খুলনা প্রেসক্লাব : দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।  খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলের পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ক্লাব সদস্য এইচ এম আলউদ্দিন, মোঃ রাশিদুল ইসলাম, শেখ কামরুল আহসান, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, আব্দুর রাজ্জাক রানা,  খলিলুর রহমান সুমন প্রমুখ।  সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কৌশিক দে, মোঃ এরশাদ আলী, দেবব্রত রায়, বাপ্পী খান, এস এম নূর হাসান জনি, রিংটন মন্ডল, আল মাহমুদ প্রিন্স, কে এম জিয়াউস সাদাত, নাজমুল হক পাপ্পু, ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মহেন্দ্রনাথ সেন, মিলন হোসেন, তুফান গাইন, মোঃ সোহেল রানা, ইমাম হোসেন সুমনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। 
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ হাদিস পার্কের শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান খুলনা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। 
জাতীয় পার্টি খুলনা : শুক্রবার মাগরিববাদ ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি শেখ নাজমুল কবির সাদীর সভাপতিত্বে ও পার্টির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির ছিলেন পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুল­াহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন তৈমুর হোসেন শাহীন, শাহ মোঃ লায়েকুল­াহ, প্রিন্স হোসেন কালু, গাজী খোকন, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, কাজী হাসানুর রশীদ রাসেল, এজাজ আহমেদ, মাজাহার জোয়ার্দার পান, অপূর্ব দত্ত নেকু, মোল্যা কামরুজ্জামান রজব, শামিমা আরা পারভিন, শাহনাজ পারভীন, মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্টু, বাবুল হাসান রাজু, শহীদ হাওলাদার, মোঃ আলাউদ্দিন প্রমুখ।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন : শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনের কার্যালয়ে  দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেবব্রত রায়ের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, মিলন হোসেন, সাগর সরকার, আল মাহমুদ প্রিন্স, ইমাম হোসেন সুমন, তুফান গাইন, মোঃ সোহেল প্রমুখ।
দৌলতপুরে সবুজ সাথী প্রি-ক্যাডেট স্কুল : প্রভাত ফেরী, র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষে সকাল ৮টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিকেলে র‌্যালি বের হয়। পরে দৌলতপুর কেন্দ্রীয় শহিীৎদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। বিদ্যালয় আঙ্গিনায় আলোচনা সভা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুব্রত বিশ্বাস ও রাজীব কুন্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায়  বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিমলেন্দু দাশ, মোরশেদা খাতুন, ফারজানা হাসান, শাহনাজ সুলতানা, রুমানা রউফ লিজা, রাজীব কুন্ডু,  নাজমিন নাজু, কবিতা দাস, বাপ্পী, রিপন কর্মকার, কাউসার আহম্মেদ, মীম নূরে আলম সিদ্দিক, তানিয়া সুলতানা, কিশোয়ারা পারভীন, সীমা মুনসুরা প্রমুখ।