খুলনা | বুধবার | ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ছত্তিশগড়ের সাবেক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে মিললো টাকার পাহাড়!

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৪ এ.এম | ১২ মার্চ ২০২৫


ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে হানা দিলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ইডি। ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার মোট ১৪টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। এর মধ্যে ভিলাইয়ে ভূপেশ ও তার ছেলে চৈতন্যের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। 
এর আগেও এই মামলায় ছত্তিশগড়ের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে মিললো টাকার পাহাড়! টানা গুণতে একাধিক মেশিন আনতে হয় ইডি কর্মকর্তাদের। এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছেন কংগ্রেসের এই নেতা। গোটা বিষয়টিকেই ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বাঘেল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আবগারি ক্ষেত্রে ২১০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ নয়ছয় হয়েছে। 
সেই টাকা আবগারি চক্রের সুবিধাভোগীরা নিজেদের পকেটে ভরেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য নেতা, সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি ভূপেশ ও তার ছেলেও যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি কর্মকর্তাদের। ইডির অভিযোগ, বাঘেলের ছেলে ২,৫০০ কোটি টাকারও বেশি অপরাধ চক্রের  প্রধান সুবিধাভোগী ছিল, যা অবৈধ মদ বিক্রির মাধ্যমে তৈরি একটি ‘কমিশন’ মারফত তার কাছে এসেছিলো। রাজ্যের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নির্বাহীদের নির্দেশ অনুসারে সেই অর্থের ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছিল। তল­¬াশি অভিযান চালিয়ে  ভূপেশ বাঘেলের বাড়ি থেকে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা নগদ ও বহু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
যদিও পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে ভূপেশ বাঘেল জানান, এই টাকা তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ও কিছু পারিবারিক জমানো টাকা। তল­¬াশি শেষের পর এক্স হ্যান্ডেলে বাঘেল লেখেন, ‘আমাদের পরিবারের চাষাবাদ, ডেয়ারি ও ব্যবসা সংক্রান্ত বাড়িতে থাকা নগদ ৩৩ লক্ষ টাকা ইডি নিয়ে গিয়েছে। এই টাকা যে বৈধ তার সমস্ত প্রমাণ ইডির কাছে পেশ করব আমরা।নোট গোনার মেশিন নিয়ে এসে এজেন্সি একটি আবহ তৈরি করার চেষ্টা করেছে যেন বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। আমার মনে হয় না এটা বিরাট টাকা। আসলে এটা বিধানসভায় বিজেপিকে প্রশ্ন করার শাস্তি।
এদিকে ইডি হানার খবর পেয়ে ভিলাইয়ে বাঘেলের বাড়ির বাইরে ভিড় জমান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তদন্তকারীরা বাড়ি ছেড়ে বেরোতেই তাদের উপরে চড়াও হওয়ার ইভযোগ উঠেছে বাঘেল অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ভিলাইয়ে বাঘেলের ছেলে চৈতন্যের বাড়িতে ইডির হানার পরে বাঘেল জানান, একটি ‘মিথ্যা মামলা’ সাত বছর ধরে চলার পরে আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তার পরেও  ভিলাইয়ের বাড়িতে ইডির ‘অতিথিরা’ প্রবেশ করেছেন বলে দাবি সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছেন যে এই মামলায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। অতীতে কংগ্রেস নেতাদের  দুর্নীতিই একের পর এক সামনে আসছে। 
সূত্র :  ইন্ডিয়া টুডে।