গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) প্রেসিডেন্ট কে পি শর্মা ওলি।  
নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সঙ্গে আলাপকালে এই অভিনন্দন জানান। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে তারা বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কসহ দুই পার্টির দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান ও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য জরুরি। তাই গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে পরিবর্তনের জনআকাক্সক্ষা ধারণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, পানিসহ শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের চার দিনের নেপাল সফরের শেষ দিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাইফুল হকের কন্যা ড. মোশরেকা অদিতি হকও উপস্থিত ছিলেন।
নেপাল অবস্থানকালে সাইফুল হক ক্ষমতাসীন সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শংকর পোখরেল, নেপালের কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নেতৃবৃন্দ, নেপালের বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এর আগে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার কৃষক-ক্ষেতমজুরদের দুই দিনের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।