খুলনা | মঙ্গলবার | ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১

ডিবি পুলিশের অভিযান

সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি ও তরল দুধসহ দুই সহোদর আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৩৫ এ.এম | ০৭ এপ্রিল ২০২৫


সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ, ঘিসহ দুই সহোদরকে আটক করেছে। শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০ লিটার ভেজাল ঘি ও ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ এবং দুগ্ধজাত  পণ্য তৈরি সরঞ্জাম জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, পাম অয়েল, সয়াবিন তেল, জেলী ও মেশিন জব্দ করা হয়।
আটক দুই সহোদর হলেন সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের অশোক কুমার ঘোষের ছেলে কমল কুমার ঘোষ (৩৮) ও দিলীপ কুমার ঘোষ (৪৩)। ডিবি পুলিশ জানায়, ছোট কাল থেকে দুধের ব্যবসা থাকলেও গত সাত বছর যাবত ভেজাল ঘি ও দুধের কারবার করে আসছিল সদরের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ। একপর্যায়ে তারা বাড়িতে একটা ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ এই ভেজাল দুগ্ধাজাত পণ্য তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। উক্ত খবরের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল শনিবার রাত ৯টায় ওই কারখানায় অভিযান চালায়। রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানে ২০ লিটার ভেজাল ঘি ও ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, পামওয়েল, সয়াবিন তেল, জেলি ও মেশিন জব্দ করা হয়। এ সম ভেজাল দুধের কারবারি কমল ও দিলীপ ঘোষ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তারা ৫০০ লিটার পরিমাণ দুধে ৫০০ গ্রাম পামঅয়েল দেয়। এছাড়া সয়াবিন তেল ও এক ধরনের জেলি কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন ৩-৪শ’ লিটার দুধ ও আধা মন ঘি তৈরি হয় তাদের কারখানায়। দুধ পুরোটাই মিল্ক ভিটায় দেয় আর ঘি বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়। 
কমল ঘোষ বলেন, ছোটকাল থেকে দুধের ব্যবসা করলেও গত পাঁচ সাত বছর যাবত তারা এই ভেজাল কারবারে জড়িয়েছেন।  
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ নিজাম উদ্দিন মোল­া জানান, আশাশুনি থানার সীমান্ত এলাকা ও সাতক্ষীরা সদরে ফিংড়ী  ইউনিয়নে বহুদিন ধরে  দুগ্ধজাত ভেজাল পণ্য ঘি ও দুধ তৈরি করে আসছিল কিছু অসাধু কারবারি। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।