খুলনা | শুক্রবার | ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২

মতবিনিময় সভায় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ

আশাশুনির বিছট গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকার জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও আশাশুনি প্রতিনিধি |
১১:৪৮ পি.এম | ০৭ এপ্রিল ২০২৫


সাতক্ষীরার আশাশুনির বিছট গ্রামের ভেড়িবাঁধ ভাঙন পরর্বতী দূর্গত এলাকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিমিয় সভা সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটি যৌথভাবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। 
আশাশুনি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুকের সভাপতিতে মত বিনিময় সভায় নদী ভাঙন পরিদর্শনের দৃশ্য ও সার্বিক পরিস্থিতির বর্ণনা করনে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্যবৃন্দ। তারা বলেন আশাশুনির বছিট গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকার ও জনগণের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারেন যে, সেখানকার জনজীবন চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এখানে খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে, মানুষ ভেড়িবাঁধের উপর বসবাস করছে। তাদের খাবার ও পানির কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাস্তার উপর ছোট্ট জায়গায় বসবাস করায় রান্না করার জায়গার সংকট, বিশেষ করে নারীরা টয়লটে যেতে পারছে না। নদীর লবণ পানি এলাকায় প্রবেশ করায় স্বাদু পানির মাছ মরে গেছে এবং এলাকায় মরা মাছের গন্ধে একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিস্তৃত মাঠের ধানক্ষেত যেন আগুনে ঝলসানো ভূমির মত পড়ে আছে। সবমিলিয়ে একটা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আশাশুনি উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত বিছট এলাকা মানুষ বসবাস করছে। 
সভার বিশেষ অতিথি মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, টেকসই ভেড়িবাঁধ না থাকায় এলাকাটিতে প্রতি বছর নদী ভাঙনের ফলে বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসল, মাছ এবং সুপেয় পানির আধার গুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি টেকসই ভেড়িবাঁধ।
অনুষ্ঠানে জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম-সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল বলেন, প্রাথমিক ঝুঁঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে কাজ করলেও টেকসই ভেড়িবাঁধ ছাড়া ঝুঁঁকি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলে এলাকাবাসী মনে করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক  এড. শেখ আজাদ হোসেন বেল­াল প্রমুখ।