খুলনা | শনিবার | ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২

দেশে ইসরায়েলের পণ্য রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধের দাবি

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪১ এ.এম | ১২ এপ্রিল ২০২৫


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসরায়েলের পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের যে সব দোকানে বা মার্কেটে ইসরায়েলের পণ্য বিক্রি করা হবে সেগুলোকেও সম্মিলিত ভাবে বয়কটের আহŸানও জানানো হয়েছে।
দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, আল কুদস কমিটিসহ একাধিক ইসলামি প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে ইসরায়েল বিরোধী কর্মসূচি শুরু করেন। তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহŸান জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। বিশ্ব স¤প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এখনো কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। বাংলাদেশের উচিত ইসরায়েলের পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে কঠোর বার্তা দেওয়া।
সংগঠনটির মহানগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, নিশ্চয়ই, ইসরায়েল আজ যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা শুধু ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নয় বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা হোক। যারা গণহত্যা চালায়, তাদের সঙ্গে কোনো রকম বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা মানবতা বিরোধী।
সহসভাপতি মুফতি শওকত ওসমান বলেন, ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শিশুরা বোমায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে। মায়েরা সন্তানের লাশ কাঁধে নিচ্ছেন-এই দৃশ্য আর কতদিন চুপচাপ দেখবো? মুসলমান হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, এবার রাষ্ট্রকেও জেগে উঠতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিক্ষোভকারীদের ফিলিস্তিনের পতাকা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আঁকা বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
এসময় তাদের,‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘বিশ্ব মুসলিম লড়াই কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।