খুলনা | রবিবার | ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২

রূপসায় মাছ লুটকারী কর্তৃক ঘের মালিকের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রূপসা প্রতিনিধি |
১১:৩৮ পি.এম | ১৯ এপ্রিল ২০২৫


রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট করে ঘের মালিকের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাজদিয়া গ্রামের পানু বিশ্বাসের পুত্র তুষার বিশ্বাস। শনিবার বেলা ১১ টায় রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তুষার বিশ্বাস জানান, গত  গত ২২ ফেব্র“য়ারি ঘাটভোগ ইউনিয়নের  চাঁদপুর গ্রামের মৃত হাবি শেখের পুত্র মুজিবর শেখ, ফিরোজ হালদারের পুত্র পারভেজ হালদার এবং আলী শিকদারের পুত্র আশিকুর সিকদার চাঁদপুর গ্রামে অবস্থিত ৩টি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট করেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৪ লক্ষ টাকা। তারা আমিসহ  পিঠাভোগ  গ্রামের চিত্ত পাল এবং কাজদিয়া গ্রামের ইসরাইল খানের পুত্র জিয়া খানের ঘেরের মাছ লুট করে।  ঘটনার সময় জিয়া খান চোর মুজিবর শেখকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আজিজুল ইসলাম নন্দুর উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশি বৈঠকে মুজিবর শেখ তার দুই সহযোগী পারভেজ হালদার আশিকুর শিকদারকে নিয়ে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুটের কথা স্বীকার করে। ৩ যুবক সকল ঘটনা স্বীকার করে উপস্থিত জনতার সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করে।  সে মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের ভাবপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৩ যুবককে অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং তাদেরকে পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দোষীরা দন্ডের টাকা অতি দ্রুত প্রদান করবেন মর্মে অঙ্গীকার করে। কিন্তু উক্ত দুষ্কৃতকারীরা এলাকার প্রভাবশালী চোর  সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা তিশার হালদারের পুত্র হেমায়েত হালদার , আলতাফ সেখের পুত্র  হালিম শেখ এবং সাবেক ইউপি সদস্য মহিতোষ ভট্টাচার্যের নির্দেশে জরিমানার কোন টাকা প্রদান করেনি। উল্টো এলাকার চিহ্নিত চোর পারভেজ হালদারের পিতা ফিরোজ হালদার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর আমলী আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন  মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামি করা হয়েছে জিয়া খান, শরীফ শেখ, সাজ্জাদ সেখ, আসিফ শেখ, জিহাদ হালদার, বাইজিদ হালদারকে। 
তিনি আরো জানান, আদালতে মামলার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান আবারও তাদেরকে ডেকে আনেন পরিষদে। একপর্যায়ে তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট   মামলা তুলে আনার অঙ্গীকার করে এবং মামলা করা ভুল হয়েছে বলে জানায়। কিন্তু মাত্র দু’দিন পর উক্ত চোর সিন্ডিকেটের হোতাদের নির্দেশে উক্ত চোরদের পক্ষ অবলম্বন করে ফিরোজ হালদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরবর্তীতে রূপসা থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ করে। যা এখনো তদন্তাধীন। অভিযোগে ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু , বিএনপি নেতা জাহান আলী শেখ , সমাজসেবক আজিবুল­াহ  শেখসহ ১৫/১৬ জনের নাম উলে­খ করা হয়। 
তিনি আরো বলেন, এ চোর সিন্ডিকেট হোতাদের নির্দেশে ইতিপূর্বে উক্ত এলাকা থেকে ১২ টি স্যালো মেশিন, ৪টি স্যালো মোটর এবং একাধিক সোলার ব্যাটারী চুরি করেছে যার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এলাকার নিরীহ জনসাধারণ তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে নারী নির্যাতনসহ নানাবিধ মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। যে কারনে তাদের  ভয়ে এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। মিথ্যা মামলা দু’টির বিষয়ে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জাহান আলী শেখ, শরীফ শেখ, জিয়া খান, বাইজিদ হালদার, সাজ্জাদ শেখ, আসিফ শেখ।