খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২

পলাতক সব এমপি-মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে : প্রেস সচিব

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪২ এ.এম | ২২ এপ্রিল ২০২৫


দুর্নীতি, হত্যা মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত বিভিন্ন দেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও বিগত সরকারের মন্ত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।  তিনি বলেন, যারা যারাই অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, খুনের মামলা আছে তাদের ব্যাপারে আমরা সিরিয়াস এবং প্রত্যেকে আমরা প্রত্যাবাসন চাইবো। তাদের বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা আমাদের এবং পরবর্তী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের নেতা যারা বাইরে গিয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই হাতে রক্ত আছে। তারা বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত, তাদের অনেকে বড় বড় দুর্নীতিতে জড়িত।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পলাতক নেতাদের দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এরা বাংলাদেশের মানুষের টাকা চুরি করে বাইরে নিয়ে মোজ-পূর্তি করছেন। তাদের ফেরানো অবশ্যই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই কাজটা আমরা করবো।
বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতার হাতে রক্ত লেগে আছে উলে­খ করে তিনি বলেন, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযুক্ত। বড় বড় দুর্নীতিতে যুক্ত।
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইসলামপন্থি দলগুলোর আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, প্রতিবেদনটি ঐকমত্য কমিশনে যাবে। তা নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ অনেকগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক ভাবে আলাপ-আলোচনার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে আমরা প্রতিবেদনের কতটুকু নেব, কতটুকু নেব না।
কাতারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এ পরিকল্পনা আমাদের অনেক দিন ধরেই আছে। আমরা একই বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। যাতে করে দেশটির বাজার আমাদের উন্মুক্ত হয়। আরও শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নেয়, সে বিষয়ে আমরা দেখছি। একই ভাবে অন্যান্য যেসব দেশে আমাদের ভাই-বোনেরা কাজ পেতে পারেন তা নিয়ে কাজ করছি। শ্রমবাজারগুলো আরও ভালো বেতনে, বেশি সংখ্যক যেতে পারে সেটা সরকারে অগ্রাধিকার।
শফিকুল আলম বলেন, যারা অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগ আছে, খুনের মামলা আছে, তাদের সবার বিষয়ে আমরা সিরিয়াস। তাদের প্রত্যেকেরই প্রত্যাবাসন চাইবো, তাদের বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা আমাদের কেন, আমি মনে করি পরবর্তী সরকারের জন্যও এটা একটি নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের কাজ খুব ভালোভাবে করবো। আমরা আশা করবো যাতে কাজটা শেষ করে দিয়ে যেতে পারি। আমরা যদি আমাদের সময়ে না করতে পারি, আমাদের পরে যে সরকার আসবে তারাও এই কাজটি করবেন।
তিনি বলেন, আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন, এক একজনের এ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ টাকা আমরা পেয়েছি। আমার-আপনার এ্যাকাউন্টে তো এক কোটি টাকার লেনদেনও দেখা যায় না, অথচ এক একজনের ৮০০, ৯০০, ১২০০ কোটি টাকার লেনদেন। একজন সরকারের সচিব বা মন্ত্রী কত টাকা পায়, বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।