খুলনা | শনিবার | ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই গণহত্যার প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে

|
১২:৪৩ এ.এম | ২৫ এপ্রিল ২০২৫


গত বছরের জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ সারা দেশে গণহত্যাসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। এসব অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণহত্যার প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন। তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল­াহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও গণহত্যার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনাসহ তারা সবাই গণহত্যার নির্দেশদাতা। বস্তুত তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বৈধ ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় সরকারি বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থা সোমবার এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে ডিএমপি’র সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এসব আসামির মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার রয়েছেন; পলাতক রয়েছেন কয়েকজন।
৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। উলে­খ্য, ঢাকা মহানগরীর চানখাঁরপুল এলাকায় নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ রাকিব হাওলাদার, মোঃ ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিককে গুলি করা হয়েছিল। ফলে তারা শহিদ হন। ট্রাইব্যুনালে আরও জানানো হয়, পলাতক আসামি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও অন্য আসামিরা সরাসরি তত্ত¡াবধান/অংশগ্রহণ, অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা, কোনো ব্যবস্থা না নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ভূমিকা রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।