খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

নাশকতা মামলায় নগরীর ২২নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি সাত্তার খলিফা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক ও রূপসা প্রতিনিধি |
০২:৪৭ এ.এম | ২৫ এপ্রিল ২০২৫


খুলনা মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, ১নং কাস্টম ঘাট এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম খলিফার পুত্র আব্দুস সাত্তার খলিফা (৫২) খুলনা সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামাল হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরী এলাকায় নাশকতসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।  
আমাদের রূপসা প্রতিনিধি জানান সাত্তার খলিফার বিরুদ্ধে  রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের ইলিয়াছ শেখের পুত্র আল-আমিন শেখের সাড়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাইকগাছায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামি সাত্তার খলিফা আদালতে জামিন নিতে এলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর না করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অল্প দিন পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে সাত্তার খলিফা হয়ে উঠেন আরও হিংস্র ও অমানবিক। দলীয় প্রভাব কাটিয়ে আল-আমিনকে তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে রূপসা ব্রিজ এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে পাশবিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় ৮ ঘন্টা ধরে। পরে আল-আমিনের স্ত্রী ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনে। আল-আমিন জানায় বিএনপি’র সমর্থক হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা করায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। দীর্ঘক্ষণ আটক করে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে খবর দেওয়া হয় টাকা নিয়ে আসার জন্য। স্ত্রী তখন স্বামীকে বাঁচানোর জন্য তাদের শেষ সম্বল একমাত্র রিকশাটি ও বিক্রি করে ১৫ হাজার টাকা পুলিশকে দিলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় প্রত্যয়ন নেওয়া হয় যে, আর কখনো সাত্তার খলিফার নিকট টাকা চাওয়া বা মামলা করা যাবে না। আল-আমিন কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানায় গত ৬/৭ বছর ধরে তিনি তার বাড়িতে আসতে পারেননি এবং ছেলে মেয়েদের মুখ দেখতে পারেননি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর এলাকায় তিনি এলাকায় আসেন এবং সাত্তার খলিফার নিকট ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল ভুক্তভোগী আলামিন শেখ সাত্তার খলিফার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।