খুলনা | মঙ্গলবার | ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণবিজ্ঞপ্তি জারি

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫১ এ.এম | ২৮ এপ্রিল ২০২৫


নতুন সিটি কর্পোরেশন হতে যাচ্ছে বগুড়া। রোববার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এ-সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এর মাধ্যমে বগুড়া হতে যাচ্ছে দেশের বড় সিটি কর্পোরেশনগুলোর একটি।   
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালা ২০১০-এর বিধি অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি, এলাকাবাসীর মতামত, আপত্তি নিষ্পত্তিমূলক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ১০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি কর্পোরেশন-২ শাখা থেকে উপসচিব মোঃ ফিরোজ মাহমুদ সই করা পত্র পাঠানো হয় জেলা প্রশাসককে। পৌরসভার প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুলিপি দেওয়া হয়। এতে সুস্পষ্টরূপে সীমানা চিহ্নিতকরণ শেষে চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা বলা হয়। সময়ের একদিন আগেই জেলা প্রশাসক এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যে কোনো জেলায় সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করতে হলে পৌর এলাকার জনসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে চার লাখ। সেখানে বগুড়া পৌরসভার স্থায়ী জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে তিন হাজার প্রয়োজন হলেও এ শহরে আছে পাঁচ হাজার ৮৪৩ জন।  
বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার জানান, আ’লীগের সময়ে বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়ন বঞ্চিত বগুড়াবাসী। উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া পৌরসভাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, সিটি কর্পোরেশনের সীমানা চূড়ান্ত করতে মৌজাভিত্তিক কাজ করা হয়েছে। বগুড়া সিটি কর্পোরেশন এখন সময়ের বিষয় মাত্র। সিটি করপোরেশন গঠনের মাধ্যমে বগুড়ার উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখা সম্ভব।  
বগুড়ার বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। তিনি বলেন, এরই অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় জনগণের অভিমত এবং কারও আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবো। সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হবে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে ১০ দিন সময় দেওয়া হবে। এরপর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট হবে।