খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০১ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

চাপ নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০২:৫৩ পি.এম | ২৯ এপ্রিল ২০২৫


চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনেই জিম্বাবুয়ের ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাকি এক উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। দুই ওপেনার এনামুল হক ও সাদমান ইসলাম মিলে শুরুটা করেছিলেন ভালোই। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর বিজয় ফিরলেও শতকের দেখা পেয়েছিলেন সাদমান। তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের সুবাদে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল স্বাগতিকরা। তবে সেঞ্চুরির পর আর খুব বেশি এগোতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৯৪ রানে মুমিনুল হক বিদায় নেওয়ার পরের বলেই আউট হন সাদমানও। টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে তাই চাপে বাংলাদেশ।

সাদমানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই, ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে। এরপর তিনবার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা আর ঘোচেনি। বিশেষ করে গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৭ রানের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটালেন তিনি। এই ইনিংসেই আবার ছুঁয়ে ফেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০০০ রানের মাইলফলক।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম সাবধানী সূচনা করেন। ২৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৫ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ফিফটি তুলে নেন সাদমান।

বিরতি থেকে ফিরে ৮০ বলে ৩৯ রান করে আউট হন বিজয়। তবে সাদমান থেমে থাকেননি। পরবর্তী ব্যাটার মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ১৪২ বলে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

তবে সেঞ্চুরির পর আর নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। দলীয় ১৯৪ রানে ব্রায়ান ব্যানেটের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। এর আগের ওভারের শেষ বলেই আউট হন মুমিনুলও। তিনি ফিরেছেন ৬৪ বলে ৩৩ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ক্রিজে আছেন দুই নতুন ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

এর আগে প্রথম দিন ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করেছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই শেষ উইকেটটি তুলে নেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস ধসিয়ে দেন।