খুলনা | বুধবার | ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

১৯ দিন পর জামিনে কারামুক্ত মডেল মেঘনা আলম

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৪ এ.এম | ৩০ এপ্রিল ২০২৫


চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১৯ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। ওই দিন থেকে কারাগারে ছিলেন এই মডেল।

এদিকে, সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর ১৫ এপ্রিল চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মেঘনা আলম ও তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় মেঘনা ও সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়। ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

গতকাল সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ৩০ দিনের আটকাদেশ নিয়ে ১০ এপ্রিল গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে ওই কারাগারেই ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তার আটকাদেশ প্রত্যাহার ও ধানমন্ডি থানার অন্য একটি মামলায় জামিন পাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মুক্তি দেওয়া হয়।

মেঘনার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, ‌‘বিকালে মেঘনার জামিননামা কারাগারে পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারাগার থেকে বের হন। তার বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’