খুলনা | শুক্রবার | ০২ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ থাকবে: শফিকুর রহমান

খবর প্রতিবেদন |
০২:৩০ পি.এম | ০১ মে ২০২৫


‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি নিরাপদ থাকবে। তারা সম্মান ও যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে পল্টন মোড়ে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশে জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘শ্রমিকরা আজ বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার। তাদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। আবার চাঁদাবাজদের জুলুম-নির্যাতনেও শ্রমিকদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। মালিক ও শ্রমিক পরস্পরের পরিপূরক। তাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার ভিত্তিতেই দেশ গড়া সম্ভব।’

নারী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘পুরুষ কর্মীদের জন্য নামাজের জায়গা, বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকলেও, নারীদের জন্য এসব সুবিধা এখনো অনুপস্থিত। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

শ্রমিকের পারিশ্রমিক নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, অনেক ফ্যাক্টরি বা কারখানায় শ্রমিকরা এতো কম বেতন পান, যা দিয়ে দিন চলে না। যার ফলে তাদের ওভারটাইম করতে হয়। এই অমানবিক জীবনের অবসান ঘটানো সময়ের দাবি। জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, তবে শ্রমিকদের এই দুরবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হবে।’

শফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত। শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। একই সঙ্গে শ্রমিকরা চাঁদাবাজদের জুলুমেরও শিকার। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষকেই একে অপরের জন্য কাজ করতে হবে। পারস্পরিক ভালোবাসার ভিত্তিতে দেশ গড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, পুরুষের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে নামাজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়। তবে নারীদের জন্য তেমন সুযোগ-সুবিধা দেখা যায় না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে নারীদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা রাখার আহ্বানও জানান শফিকুর রহমান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে হাজারো শ্রমিক অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন, জেলে পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনার বিচার চাই। পাশাপাশি শ্রমিকবান্ধব আইন ও স্বাস্থ্যবীমা চালুর দাবিও জানান তারা।’

শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে নেতারা বলেন, ‘সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন দেশের প্রতিটি শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটবে।’

সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে অনেককেই হয়রানি, নির্যাতন ও অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। এর যথাযথ বিচার দাবি করেন তারা। সরকারের কাছে শ্রমিকবান্ধব আইন ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বীমা প্রত্যাশার দাবিও জানান শ্রমিক নেতারা।

এর আগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের একটি র‌্যালি সকাল কাকরাইল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।