খুলনা | শনিবার | ০৩ মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩৯ পি.এম | ০২ মে ২০২৫


ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ভারত সীমান্তে সামরিক মহড়াও চালায় পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের খাদ্য মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২ মে) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই পক্ষের মধ্যে টানা অষ্টম রাতের মতো গোলাগুলি হয়েছে। উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দুই দেশ।

শুক্রবার (২ মে) স্থানীয় প্রাদেশিক পরিষদে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা–সংলগ্ন ১৩টি নির্বাচনী এলাকার জন্য দুই মাসের খাদ্যসরবরাহ মজুত করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।’

চৌধুরী আনোয়ার উল হক বলেন, আঞ্চলিক সরকার ওই ১৩টি নির্বাচনী এলাকার জন্য ‘খাদ্য, ওষুধ এবং অন্য মৌলিক চাহিদাগুলোর’ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১০০ কোটি রুপির (৩৫ লাখ মার্কিন ডলার) একটি জরুরি তহবিল গঠন করেছে।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকাগুলোর সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন যন্ত্রপাতিও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তার দেশের সেনাবাহিনীকে হামলার জবাব দেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।

পহেলগামের হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান বলছে, ভারত একটি সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য খবর আছে। যেকোনো হামলার জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

সামরিক উত্তেজনার আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার (১ মে) পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের জন্য এক হাজারেরও বেশি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।