খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইউনিলিভার বাংলাদেশ : ছয় দশকের এক অবিচল অঙ্গীকার

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:১৩ এ.এম | ০৮ মে ২০২৫


১৯৬২ সালে যাত্রা শুরু করা ইউনিলিভার বাংলাদেশ কেবল একটি বহুজাতিক কোম্পানি নয়, বরং এ দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত এক বিশ্বাসের নাম। দেশের ১০টি পরিবারের ৯টিতে ইউনিলিভারের কোনো না কোনো পণ্য ব্যবহৃত হয়। এই পরিসংখ্যান শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, এটি মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিচ্ছবি।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ এই দেশের অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৯৬ শতাংশ পণ্যই বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, যেখানে সরাসরি নিয়োজিত রয়েছেন দেশের দক্ষ কর্মী ও কর্মকর্তারা। বিপণন ও বিতরণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ লক্ষ খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা, যাদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ইউনিলিভার একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৯.২৫% মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে, যা প্রতিষ্ঠানটির নীতিগত স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্বকে প্রতিফলিত করে। পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে সরকারের প্রতিনিধিত্ব এবং কোম্পানিটি নিয়মিত আয়কর ও লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অবদান রেখে চলেছে।
স্বাস্থ্য, সচেতনতা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো সামাজিক অগ্রাধিকারে ইউনিলিভার বাংলাদেশ কাজ করে চলেছে। ২০০২ সালে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ভাসমান হাসপাতাল-লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। এই হাসপাতাল ইতোমধ্যে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ‘লাইফবয় স্কুল অব ফাইভ’ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শিশু যাদের শেখানো হয়েছে হাত ধোয়ার গুরুত্ব ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এছাড়াও  ৩০০টির বেশি ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ পায় বিনামূল্যে দাঁতের চিকিৎসা—যেখানে অংশ নেন প্রায় ৩,০০০ স্বেচ্ছাসেবী দন্ত চিকিৎসক।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় ইউনিলিভার বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবি-তে কিট সরবরাহ ও সরকারি হাসপাতালে ১০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে জরুরি সহায়তা। বিতরণ করা হয়েছে ১৪ লাখ হ্যান্ডওয়াশ সাবান এবং ব্র্যাকের সঙ্গে চালানো হয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের যাত্রা কেবল মুনাফার নয়, একটি স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও মানবিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ আগামীতেও মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে যাবে, এই দেশেরই অংশ হয়ে, এই দেশের মানুষের জন্য।