খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

অধ্যক্ষ যখন নিজেই সভাপতি!

কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি |
০১:৪৭ এ.এম | ১০ মে ২০২৫


অনৈতিক সুবিধার ভাগ না দিতে অধ্যক্ষ নিজেই সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনাটির জন্ম দিয়েছেন কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বিভিন্ন সময় উচ্চতর বেতন স্কেল, অগ্রায়ন পত্র ও এমপিও শীটে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরের পাশাপাশি নিজেই সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। 
জানা গেছে, কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দায়িত্বে থাকেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক । ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সভাপতি কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করেন শাহনাজ পারভীন, সরোয়ার আহমেদ সালেহীন ও এম এম মুনিম লিংকন। অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ২০২২সালের ২২মার্চ মোঃ হাসান আলী এবতেদায়ী ক্বারীর উচ্চতর বেতন স্কেল পাওয়ার আবেদন, ২০১৯ সালে ১০ মার্চ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আয়া রনজিদা বেগম এর  বেতন আবেদনের অগ্রায়ন পত্র এবং ২০ ২২ সালের ১৫ আগস্ট এমপিও শীটে নিজেই সভাপতির স্বাক্ষর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বিভিন্ন সময় অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সরোয়ার খান জানান, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বিভিন্ন সময় সভাপতির দায়িত্বে থাকা সভাপতি দায়িত্ব বুঝে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যারদের স্বাক্ষরের অরিজিনাল কপিটি সংগ্রহ করেন। আমার সামনেই একাধিকবার প্র্যাকটিস করে স্বাক্ষর জাল করেন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। 
এদিকে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, জমি ক্রয়ে জালিয়াতি, নিজের নিয়োগে তথ্য গোপন  মাদ্রাসার হিসেবে গড়মিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ঘুষ গ্রহণ, আয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক, পিবিজিএসআই এর টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। আগামী ১২ মে আনীত  অভিযোগের তদন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্র জানায়। 
উলে­খ্য, গত দুই মাস যাবত অধ্যক্ষের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ, মানববন্ধন, ক্লাস বর্জনসহ  নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।