খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

রাজঘাটে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তাগণ

পাটকল চালু, বকেয়া প্রদান ও চুরি-লুটপাট বন্ধ না করলে মানুষ আবার লড়াই করবে

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৪৯ এ.এম | ১০ মে ২০২৫


বন্ধকৃত ২৬টি রাষ্ট্রীয় পাটকলসহ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু, কলকারখানা দুর্নীতিমুক্ত, খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিলসহ ৫টি মিলের শ্রমিকদের সকল পাওনা প্রদান, লিজ বাতিল, যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) এর ১, ২, ৩নং গেট ও খেলাধুলার মাঠ সর্বসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজঘাটের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
জেজেআই মিলের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শামসেদ আলম সমশের এবং সঞ্চালনা করেন সামস সারফিন সামন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি রফিকুল ইসলাম, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম বেপারী, নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এফ এম জাহাঙ্গীর, শ্রমিক নেতা আবদুল গফ্ফার তরফদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা সদস্য সচিব জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা। 
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর সদস্য আল আমিন সরকার, শিবির নেতা হাসিবুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভয়নগর উপজেলার মুখ্য সংগঠক রাকীব পাটোয়ারী, মুখপাত্র সিয়াম হোসেন, সদস্য নাইম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আলী, আনিস, মাসুম, ইমন প্রমুখ।  
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন্ধকৃত পাটকলের মধ্যে কয়েকটি পাটকল ইজারা বা লীজ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ  (জেজেআই) মিলটি আকিজ গ্র“প ইজারা নেয়। ইজারা নেওয়ার পরবর্তীতে নিরাপত্তার কথা বলে ১, ২, ৩নং গেট সর্বসাধরনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি খেলাধুলার মাঠ ব্যবহারে শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। বক্তারা বলেন, আকিজ জুট পার্ক কর্তৃপক্ষ যুক্তি দেখিয়েছেন, পাটকল এলাকা ও মেশিন, মূল্যবান যন্ত্রাংশের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বসাধরণের জন্য গেট ও খেলাধূলার মাঠ বন্ধ করার প্রয়োজন পড়ছে। এটাই যদি সত্য হয়, তাহলে যে সময় রাষ্ট্রীয় মালিকনায় এই পাটকল চালু ছিলো তখন নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত হলো না কেন। আমরা মনে করি, নিরাপত্তার প্রশ্ন হচ্ছে কর্তৃপক্ষের এটা খোঁড়া যুক্তি। কারণ পাটকলের অভ্যন্তরে অনিয়ম, চুরি-দুর্নীতি করলে শ্রমিকসহ স্থানীয় জনগণ যাতে জানতে না পারে। কর্তৃপক্ষের যুক্তি যে অসত্য তার প্রমাণ দিয়েছে সম্প্রতি। কর্তৃপক্ষের ইন্ধনে সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে মেশিন, মূল্যবান যন্ত্রাংশ পিক-আপে করে পাচার বা অন্যত্র সরিয়ে নেবার সময় স্থানীয় জনগণের কাছে তা ধরা পড়ে। 
বক্তারা আরো বলেন, জনগণকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, জনগণকে আড়ালে রেখে উন্নয়ন এর নামে দুর্নীতি-লুটপাট করলে এই এলাকার সংগ্রামী মানুষ মেনে নেবে না। প্রয়োজনে বিক্ষুব্ধ জনতা  আবারো লড়াই করবে।