খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কপিলমুনিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগিরা

নিজের অপকর্ম আড়াল করতে মামলায় পরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ নাহারের বিরুদ্ধে

কপিলমুনি (পাইকগাছা) প্রতিনিধি |
১২:৪৬ এ.এম | ১১ মে ২০২৫


খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নাহার আক্তারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, বসত-বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারপিট ও মিথ্যা মামলায় হয়রাণির অভিযোগে গতকাল শনিবার কপিলমুনিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
হরিঢালী ইউনিয়নের মাহমুদকাটি গ্রামের মৃত উজির আলী গোলদারের ছেলে সাত্তার গোলদার তার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তৎকালীন জেলা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য স্থানীয় নাহার আক্তার (৪৫) ও তার পোষা সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা, মামলা ও হয়রাণির শিকার হয়ে বাড়িছাড়ার উপক্রম হয়েছিল তার।  একপর্যায়ে নিজ সীমানায় নতুন ঘর নির্মাণ করতে গেলে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য লেডি সন্ত্রাসী নাহার আক্তার ও তার অনুগত সন্ত্রাসীরা তার কাছে কয়েক দফায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের চাহিদামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও অনুগত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিট করে। ঐসময় তারা নগদ আড়াই লক্ষ টাকাসহ ৪ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুট ও বসত-বাড়ি ভাঙচুর করে অন্তত সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধান করে। এসময় তারা ঘটনার প্রতিবাদ করলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় তারা তার ও তার স্ত্রী-ছেলেদের মারপিট করে গুরুতর যখম করে। সর্বশেষ গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে সরাসরি তাদের বিরোধিতা করে নতুন সমালোচনার মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের ঐ দিন বিকেলে অনেক অত্যাচারীর ন্যায় তার বাড়িতেও ভাঙচুর হয়। তবে ধুরন্দর নাহার আক্তার ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ৫ আগস্টের ঘটনা ৭ আগস্ট ও সাড়ে ৫ মাস পর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী দ্বিতীয় ঘটনা দেখিয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত্তার গোলদার ও তার ছেলে লিটন গোলদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন (নং ৭৮/২৪)। নিজের অপকর্ম আড়াল করতে মামলায় পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।