বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করা ৭৮ জন ভারতীয় মুসলিমকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন মোংলা দ্বিগরাজ ঘাটিতে আনা হয়েছে। রোববার দুপুরে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া থেকে মোংলা কোস্ট গার্ডের “স্বাধীন বাংলা জাহাজে” করে দ্বিগরাজ ঘাটিতে নিয়ে তাদের আশ্রয় দেয়। 
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের একটি সুত্রে জানা যায়, ভারতের বিএসএফ ও কোস্ট গার্ড সাগর পাড়ের সুন্দরবনের মান্দতারবাড়িয়া এলাকায় এদের ফেলে রেখে যায়। পরে তারা পায়ে হেটে সুন্দরবেনর মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট অফিসে আশ্রায় নেয়। পরে খবর পেয়ে দেশীয় নৌবাহিনীরা ও কোস্ট গার্ড পুশইন করা ৭৮ জন মুসলিমকে রোববার দুপুরে মান্দরবাড়িয়া থেকে নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিকালে কোস্টগার্ডের জাহাজ “স্বাধীন বাংলা” ও একটি কাঠের ট্রলারে করে তাদেরকে মোংলা দ্বিগরাজ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনে আনা হয়।
কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুশইন করা ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে শুক্রবার রাতে তাদেরকে ভারতের কোস্ট গার্ড, বিএসএফ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট টহল ফাড়ির কাছে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ভারতীয় এ সকল নাগরিক কোন কুল কিনারা না পেয়ে পায়ে হেঁটে মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট স্টেশনে এসে আশ্রায় নেয়।
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ভারতের গুজরাটের বস্তিতে বসবাস করতো তারা। ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব দেখাতে না পারার কারণে তাদেরকে পুশইন করা হয়েছে। খবর পেয়ে মোংলা কোস্ট গার্ড ঘটনাস্থলে যায় তাদের উদ্ধার করা জন্য। মান্দারবাড়িয়ার বন বিভাগ তাদেরকে দুপুরে কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। পুশইন করা ব্যক্তিদের ফরেস্ট অফিসে থাকাকালীন বন বিভাগ থেকে জরুরি খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন দপ্তর থেকে তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোস্ট গার্ড অফিসে থাকাকালীন ভারতীয় এ ৭৮ জন মুসলিমকে খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে বলে কোস্ট গার্ড থেকে জানানো হয়েছে। তাদের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা কোস্টগার্ড থেকে যে কোন জায়গা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।