খুলনা | সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি দেশটি

অপারেশন সিঁদুর : পাকিস্তানে শতাধিক জঙ্গি হত্যার দাবি ভারতের, রাফালে নিয়ে নীরব

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৯ এ.এম | ১২ মে ২০২৫


কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ অন্তত ১০০ জনের বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। 
রোববার দিলি­তে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, ৭ মে রাতে পাকিস্তানে ৯টি নির্দিষ্ট ‘সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে ভারতীয় বিমানবাহিনী হামলা চালায়। তবে ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা দাবি করেন, এই অভিযানে ‘শুধু জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই’ হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেসামরিক স্থাপনায় যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানান তারা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, এয়ার মার্শাল অবদেশ কুমার ভারতি, ভাইস এ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ ও মেজর জেনারেল সন্দীপ এস শারদা সম্মিলিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এয়ার মার্শাল ভারতি বলেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমানঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং সামরিক অবকাঠামোতে সমন্বিত, পরিকল্পিত ও মাপজোক করে হামলা চালানো হয়। এই বার্তা দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য ভারত আর আগ্রাসন সহ্য করবে না।
তিনি জানান, ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের লাহোর অঞ্চলের একটি নজরদারি রাডার সাইট ধ্বংস করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিমান হামলায় অংশ নেওয়া ভারতীয় বাহিনীর সব পাইলট ‘নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন’।
তবে দু’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনা কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেছেন, এখনও সংঘর্ষ চলছে। এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা শত্র“পক্ষকে সুবিধা দিতে পারে। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছি, আর সব পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।
ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, আমাদের পাঁচ সহযোদ্ধা জীবন দিয়েছেন এই অভিযানে। তাদের আত্মত্যাগ দেশের জন্য গর্বের এবং চিরস্মরণীয় থাকবে। একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের গোলাগুলির জবাবে ৩৫ থেকে ৪০ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় শহরগুলোর ওপর ঢেউ আকারে ড্রোন ও মানবহীন আকাশযান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে বলে দাবি করেন এয়ার মার্শাল ভারতি।
এয়ার মার্শাল ভারতি আরও জানান ৮ ও ৯ মে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু করে টানা ড্রোন হামলা চালানো হয়, যা ভারতের বিভিন্ন শহরের আকাশে প্রতিহত করা হয়। ভারত দাবি করেছে, এসব ড্রোন হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 
তিনি জানান, আমরা প্রস্তুত ছিলাম এবং আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সজাগ ছিল। কোনও লক্ষ্যবস্তুতে শত্র“পক্ষ পৌঁছাতে পারেনি।
ভরতি আরও বলেন, ড্রোন হামলার সময় পাকিস্তান লাহোর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করেনি, যা অত্যন্ত ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। ফলে ভারতকে হামলার সময় ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ অবলম্বন করতে হয়েছে।