চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার ছয়ঘরিয়ায় রিয়াদ হোসেন (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত হযরত আলী এখনো পলাতক রয়েছেন। নিহত রিয়াদ হোসেন উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার জিয়াউর রহমান কাজীর ছেলে। সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত হযরতের বাড়িতে তার বোন-দুলাভাই এসে বসবাস করছেন। প্রতিবেশী রিয়াদের বাবার সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। বিষয়টি হযরতের মা প্রতিবাদ করে বলেন, আমার মেয়ে ও জামাতার সঙ্গে এত সখ্যতা কেন? এ নিয়ে দ্ব›দ্ব হয়। পরে হযরতের মা তার ছেলে হযরতকে বলেন, রামদা দিয়ে রিয়াদের বাবা জিয়াকে মেরে ফেলতে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসুয়া নিয়ে জিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ছেলে রিয়াদের গলায় একটি কোপ দেন হযরত আলী। এতে ঘটনাস্থলেই রিয়াদ মারা যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিবেশী মৃত বাইতুল­াহর ছেলে হযরত আলী (৩০) রিয়াদকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, হযরত আলীর বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে প্রতিবেশী জিয়ার। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে জিয়াকে না পেয়ে তার ছেলেকে এক কোপে হত্যা করে হযরত আলী।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হযরতের স্ত্রী ও মাকে আটক করা হয়েছে। তবে হযরতকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।