খুলনা | বুধবার | ১৪ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ

কলম বিরতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তোপের মুখে চেয়ারম্যান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৩ এ.এম | ১৪ মে ২০২৫


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে রাজস্ব খাতকে দু’টি পৃথক বিভাগে ভাগ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সোমবার (১২ মে) রাতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী তিনদিন কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সেখানে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে যুগ্ম কর কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু বলেন, আগামী ১৪, ১৫ ও ১৭ মে এনবিআরের অধীনস্ত সব দপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১৭ মে বিকেল ৩টায় আমরা ঘোষণা করবো।
‘পরামর্শক কমিটির যে প্রতিবেদন ছিল সেটি সামনে এনে; সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশ জারি করা হোক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না’, যোগ করেন তিনি।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ অধ্যাদেশটি হয়েছে বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। এনবিআর সংস্কারের জন্য সরকার একটি পরামর্শক কমিটি করেছিল। সেই কমিটিতে দেশের যোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কমিটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটি কোনো গণমাধ্যমে আসেনি। আপনারা কিংবা আমরা কেউই জানতে পারিনি। অংশীজনদের সঙ্গে ভালো-মন্দ কোনো আলোচনা হয়নি। ‘আমাদের মতামত উপেক্ষা করে অনেকটা গোপনীয়ভাবে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি’- যোগ করেন এ কর্মকর্তা।
এসময় কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোনালিসা শারমীন সুস্মিতা বলেন, যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে তাতে সর্বময় সার্ভিসের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। গত (সোমবার রাতে) অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। আমরা দেখতে পেরেছি, যে ফরম্যাটে অধ্যাদেশটি জারি হয়েছে সেখানে কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের কর্মকর্তাদের চাওয়া বা ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি। 
তোপের মুখে এনবিআর চেয়ারম্যান : বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তখন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেখেই ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগান দেন কয়েকজন। পরে কালো জিপে করে কার্যালয় ছাড়েন চেয়ারম্যান।