ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাতটি জেলায় অভিযান চালিয়ে মোট ২৮০টি মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসব স্থাপনা ‘অবৈধ’ভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল এবং সেগুলোর নির্মাণে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। খবর: এনডিটিভি

অভিযান চালানো জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বাহরাইচ, লাখিমপুর খেরি ও পিলভিট—যেগুলো নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।

ধ্বংস করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ছয়টি ঈদগাহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব স্থাপনা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। নিহতদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন।

হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এ ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা এই TRF।

এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বরাবরই দাবি করে আসছে, বিভিন্ন অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনাকে ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা এ ধরনের স্থাপনা ভেঙে ফেলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।