খুলনা | রবিবার | ১৮ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট করায় শাস্তির মুখে মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তা

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫২ এ.এম | ১৮ মে ২০২৫


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে করা প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খানের পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করায় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুর রউফ গত ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট করার অভিযোগে নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্ত বা বদলির মতো শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন-মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ এস এম সানোয়ার রাসেল, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মোঃ সালমুন হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ ফরিদ হোসেন ও সহকারী প্রধান আবু মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এই তোফাজ্জল (পোস্টে লেখা বানান) যিনি দুই দফায়, দু’জন আওয়ামী মন্ত্রীর পিএস ছিলেন (৬ বছর) তাকেই সচিব পদে পদোন্নতি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বানানোর জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি আরো অনুরোধ করছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় লাগলে অন্য কাউকে পদায়ন না করে এই তোফাজ্জলকেই এ পদে রাখার জন্যে।’ সেই পোস্টে প্রতিক্রিয়া (রিঅ্যাক্ট) জানান ও মন্তব্য করেন ওই পাঁচ কর্মকর্তা।
প্রতিটি নোটিশের ভাষা একই। প্রত্যেক নোটিশেই বলা হয়েছে, এহেন আচরণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার সন্তোষজনক জবাব তিন কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছিল। তিন কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে জানান নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।