খুলনা | রবিবার | ১৮ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতে নারী ও শিশুসহ ১০৪ জন ‘বাংলাদেশি’ গ্রেফতার

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫৪ এ.এম | ১৮ মে ২০২৫


অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে ৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে তল­াশি চালিয়ে দিলি­ থেকে ১৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ভারতে ১০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের তথ্য মতে, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ও বসবাসের অভিযোগে রাজ্যটির মথুরা জেলা থেকে ৯০ জনকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। শুক্রবার মথুরার নওঝিল থানার অন্তর্গত খাজপুর গ্রামের একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২৮ জন শিশু ও কিশোর রয়েছে।
ওই জেলার পুলিশ সুপার শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, কর্মরত শ্রমিকদের পরিচয় এবং বৈধতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতে ৯০ জন গ্রেফতার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন। সকলে স্বীকার করেছেন যে, তারা মাস চারেক আগে মথুরায় এসেছিলেন। তার আগে পার্শ্ববর্তী একটি রাজ্যে বসবাস করতেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার সবাইকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তারাও তাদের মতো করে বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
অন্যদিকে বৈধ নথি ছাড়া ভারতে বসবাসের অভিযোগে উত্তর-পশ্চিম দিলি­র আউচন্ডী এলাকা থেকে ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দিলি­র ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও পাঁচ শিশু।  
ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি আদিত্য গৌতম জানান, তারা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা থেকে ট্রেনে করে দিলি­তে আসে এবং খারখোদা এলাকায় ইটভাটায় কাজ নেয়। এছাড়া বাংলাদেশিদের অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সহায়তার অভিযোগে জলিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ থেকেও শনিবার একজনকে আটক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তথ্য মতে, আটক ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন। তিনি সাতক্ষীরার বাসিন্দা। ২০২০ সালে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে আসেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর ফিরে যাননি। ভাড়া বাড়ি নিয়ে পাঁচ বছর ধরে হুগলি জেলার ডানকুনিতে বসবাস করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ বসবাসের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাবড়া এলাকা থেকে বৃত্তকুমার সাহা এবং হরিপ্রসাদ দাস নামে দু’জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তল­াশি চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত নথি থেকেই ডানকুনির শাহাদাতের খোঁজ মেলে।