খুলনা | সোমবার | ১৯ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৫৭ পি.এম | ১৮ মে ২০২৫


২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ রোববার (১৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার চেষ্টা থাকবে। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টাও আমরা করছি।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার টাকা এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে।

অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ/অনুদানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্পে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন প্রকল্পসমূহে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) শেষ করতে আরও তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কিছু চলমান মেগাপ্রকল্প আছে, যেগুলো সরকার গিলতেও পারছে না আবার ফেলতেও পারছে না। যেমন কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। এই টানেল দিয়ে কোথায় যাবো? টাকা খরচ করে তারকা মানের রিসোর্ট করা হয়েছে। ধু ধু প্রান্তর। ওখানে কারা যাবে?

সাম্প্রতিক নানা আন্দোলন নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দেশে যেভাবে আন্দোলন চলছে, তাতে মনে হচ্ছে সবার দাবিদাওয়া পূরণের একমাত্র দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ভালো একটা নির্বাচন, দেশে সুশাসন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবক্ষয় পুনরুদ্ধার করাই অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।