সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়ের মা। এর আগে প্রতিবেশীরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরাফাত হোসেনকে (১৪) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বর্ণনায় উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানান, একই গ্রামের মিজানুর রহমান গাজীর ছেলে আরাফাত হোসেন সম্পর্কে আমার চাচাতো দেবর। সে সুবাদে আমরা পাশাপাশি বসবাস করি। আমার মেয়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী। আরাফাত হোসেন আমার আট বছর বয়সের মেয়েকে প্রায়ই আমার বাড়িতে এসে অশ্লীল কথাবার্তা বলাসহ অস্বাভাবিকভাবে গায়ে হাত দেয়। আমি ইতিপূর্বে কয়েকবার নিষেধ করলেও সে শোনেনি। একপর্যায়ে গত ১৬মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার মেয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠে খেজুর গাছ থেকে পড়া খেজুর কুড়ানোর সময় আরাফাত হোসেন পাখির বাসা থেকে পাখির বাচ্চা পেড়ে দেয়ার কথা বলে নলতা এলাকায় জনৈক মোঃ ময়নুদ্দিন এর খেজুর বাগানে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে বাড়িতে এসে ব্যথা যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে থাকলে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। রাত ৯টার দিকে অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কন্যাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলে রাতে সেটি মামলা (নম্বর: ০৭/৮১) হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ধর্ষণের অপরাধে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকালে গ্রেফতার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী শিশুকন্যার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।