খুলনা | সোমবার | ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক

আসন্ন ঈদুল আযহা উদযাপনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিরোধে সজাগ থাকতে হবে

তথ্য বিবরণী |
০২:০৩ এ.এম | ১৯ মে ২০২৫


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন খুলনাসহ সারাদেশেই গ্রীষ্মের তাপদাহ চলমান। এ সময়ে নিজেরা যেমন স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে তেমনি পথচারী ও সাধারণ মানুষের জন্যেও রাস্তার পাশে বা সরকারি দপ্তরগুলোর সামনে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিরোধে এখন থেকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তে এসে গিয়েছি। বিভিন্ন দপ্তরের আওতায় চলমান উন্নয়ন কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
রোববার সকালে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মে মাসের সভায় সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ ইমরান সভায় জানান, গত শনিবার ও গতকাল রোববার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া এলাকায় প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। গত শনিবারের দুর্ঘটনাটি মূলত যানবাহন রাস্তার ভাঙ্গা স্থান পার হতে গিয়ে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর হাট সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা যথাযথ ভাবে হওয়া প্রয়োজন। একই সাথে যেখানে সেখানে হাট স্থাপনের প্রবনতা প্রতিরোধ করা আবশ্যক। 
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ হুমায়ুন কবির সভায় জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে দালাল চক্র ও নি¤œমানের এ্যাম্বুলেন্সের দৌরাত্মের বিষয়টি কেএমপি পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হবে। আশা করা যায়, সকলের সহযোগিতায় বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফুটপাথের অবৈধ স্থাপনা বার বার উচ্ছেদ করার পরেও আবার নতুন করে তৈরি করা হয়, এটি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আসন্ন ঈদের সময় মোটারসাইকেলে দূরপাল­ার যাত্রা নিরুৎসাহিত করতে হবে। নগরীর সড়ক-ড্রেনের চলমান উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের সময় রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী রাখা যথাসম্ভব পরিহার করা দরকার। এতে যানজট কমতে পারে। 
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম সভায় জানান, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে খুলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর প্রাপ্যতা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি, এর বিপরীতে চাহিদা এক লাখ ৫৬ হাজার দুইশ’ ২৮টি এবং উদ্বৃত্ত থাকবে ছয় হাজার সাতশ’ ৪৬টি। এছাড়া সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কয়রার ৩৬ জন ও তেরখাদা উপজেলার ২০ জন সুফলভোগীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ করা হয়েছে। 
সভায় জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাছলিমা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, ডেপুটি সিভিল সার্জান ডাঃ সৈকত মোঃ রেজওয়ানুল হক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।