খুলনা | মঙ্গলবার | ২০ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাচারের জব্দ টাকায় হচ্ছে আলাদা ফান্ড, ব্যয় হবে জনহিতকর কাজে : গভর্নর

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫৮ পি.এম | ১৯ মে ২০২৫


আওয়ামী লীগ সরকার টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। লুট করা টাকা থেকে যা ফিরিয়ে আনা হবে তা দিয়ে একটি ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই টাকা জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, পাচারকারীদের লুটের জব্দকৃত টাকা ও শেয়ার দরিদ্রদের জন্য এবং জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হবে।

গভর্নর বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকের লুটের যেসব টাকা জব্দ করা হয়েছে তা নিয়ে ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের টাকা সরকার জনহিতকরণ কাজে ব্যবহার হবে।

গভর্নর বলেন, আইনের সঠিক ধারা মেনেই সবকিছু করা হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।

নগদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগদের বোর্ডে যারা ছিল, তারা দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা এবং সরকারে মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। তাই বোর্ডের কাছে নগদের পরিচালনা কার্যক্রম দেওয়া যাবে না। আইনের কারণে তারা অনেক কিছু করতে পারে তার জন্য ব্যাংকগুলো বড় কোনো লেনদেন করতে পারবে না।

এসময় শফিকুল আলম বলেন, পলাতক পাচারকারীদের দেশে ফেলে যাওয়া ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা ও বিদেশে থাকা ৪২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিদেশে থাকা পাচারকারীদের ২০ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্থাবর সম্পদও জব্দ করা হয়েছে।

তিনি জানান, দেশে লুটের টাকা বা লুটেরাদের জব্দকৃত অর্থ বাজেটে ব্যবহার নয় বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারে ব্যবহার করবে সরকার।