খুলনা | বুধবার | ২১ মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
১২:৩৪ এ.এম | ২১ মে ২০২৫


বাগেরহাটের দুই দশক আগেও ১০টি মৃত্যুর মধ্যে ৭টি মৃত্যু হতো সংক্রামক ব্যাধির কারণে। আর ৩টি মৃত্যু হত অসংক্রামক ব্যাধির কারণে। কিন্তু দুই দশক পরে এসে দেখা যাচ্ছে ১০টি মৃত্যুর মধ্যে ৭টি মৃত্যু হচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধির কারণে, আর ৩টি মৃত্যু হয় সংক্রামক ব্যাধির কারণে। সারা বিশ্বে অসংক্রামক ব্যাধিতে প্রতি বছর ৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগ হেপাটাইটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সব থেকে বেশি মৃত্যু হচ্ছে স্তন ক্যান্সারে। এসব অসংক্রামক রোগ যাতে না হয়, সে দিকে যদি আমরা একটু গুরুত্ব দেই অর্থাৎ খাবার ও লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করি তাহলে এ ধরনের রোগে মৃত্যু কমে আসবে।
মঙ্গলবার বাগেরহাটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এনসিডি কর্নারের সেবার মান উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে ৩ দিন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বহু মানুষ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক ও অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে শিশুরা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসে ভুগছেন। এসব বিষয় আমাদের সচেতন হতে হবে। এসব রোগে মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য সরকার প্রতিটি উপজেলায় এনসিডি কর্নার করেছে। যার ফলে অনেকেই এখান থেকে বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছে। এ বিষয়ে রোগীদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়ার আহবান জানান এই কর্মকর্তা।
কর্মশালায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক ডাঃ শামীম জুবায়ের, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসান মাহমুদ, চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শর্মী রায়, ফকিরহাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আছাদুজ্জামান সাগর, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমন, সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডাঃ উদীত প্রয়াস শিকদার প্রমুখ।
এছাড়া তিন দিনের এই প্রশিক্ষণে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, নার্স, উপ-সহকারী কম্যুনিটি মেডিকেল অফিসার, স্টোরকিপার ও পরিসংখ্যানবিদগণ অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার কর্তৃক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করা এনসিডি কর্নার থেকে রোগীদের বিনামূল্যে অসংক্রামক রোগ নির্ণয় ও ওষুধ প্রদান করা হয়ে থাকে।