খুলনা | বুধবার | ২১ মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভুয়া পণ্য প্রচারের দায়ে গ্রেফতার বিউটি কুইন

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৭ এ.এম | ২১ মে ২০২৫


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের দখলে! ঝলমলে স্ক্রিনজুড়ে তাদেরই জয় জয়কার। নিত্যনতুন পণ্যের মনকাড়া প্রচারে মুখরিত সাইবার দুনিয়া, আর সেই পণ্য প্রচারের আড়ালেই চলছে প্রতারণা। আর এই ভুয়া পণ্য প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতা জয়ী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার একজন বিউটি কুইন।
জানা গেছে, ভুয়া ফাইবারযুক্ত সাপ্লিমেন্টের প্রচার চালানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার নগুয়েন থুক থুয়ি তিয়েনকে। অভিযোগ, তিয়েন ‘কেরা সুপারগ্রিনস গামি’ নামের ফাইবারযুক্ত জেলি জাতীয় পণ্যের প্রচার চালিয়ে বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রতারিত করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পণ্যে উলে­খিত পরিমাণ ফাইবারের উপস্থিতি ছিল না। আর এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো ছিল একেবারেই নিম্নমানের। এই প্রতারণার ঘটনা উলে­খ করে সংবাদমাধ্যম ইইঈ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ভিয়েতনামের অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ নগুয়েন থুক থুয়ি তিয়েন ভিয়েতনামে ২০২১ সালে ব্যাংককে আয়োজিত ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান। এছাড়া ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকেও স্বীকৃতি পান। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন শো ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত অংশ নেন। পরিচিতি পান ‘বিউটি কুইন’ নামে।
তিনি আরও দু’জন ইনফ্লুয়েন্সারসহ এই পণ্যের প্রচার শুরু করেন। তারা দাবি করেন, প্রতিটি গামিতে এক প্লেট সবজির সমান ফাইবার রয়েছে।
কিন্তু এক ব্যক্তি তা ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠালে দেখা যায়, প্রতিটি গামিতে মাত্র ১৬ মিলিগ্রাম ফাইবার রয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, এতে রয়েছে ২০০ মিলিগ্রাম ফাইবার। এছাড়া এই পণ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ল্যাক্সেটিভও ছিল, যা প্যাকেজিংয়ে উলে­খ করা ছিল না।
চলতি বছরের মার্চে নুগুয়েন ও তার দুই পার্টনারকে জরিমানা করা হয় এবং তারা ক্ষমাও চান। ওই সময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর আবার তাদের গ্রেফতার করে ভোক্তা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এই কেলেঙ্কারির আগে এক লাখেরও বেশি বক্স গামি বিক্রি হয়েছিল। নুগুয়েন থুক থাই থিয়েনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের মামলা চলছে। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পণ্যের অস্পষ্ট বিজ্ঞাপন নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোক্তাদের উচিত যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো পণ্যে বিশ্বাস না করা।