খুলনা | বুধবার | ২১ মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবের দিক থেকে খুলনা অন্যতম একটি শহর : কেসিসি প্রশাসক

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:১৪ এ.এম | ২১ মে ২০২৫


দ্বিতীয় নগর অঞ্চল প্রকল্পের আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নাধীন ‘‘সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’’ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে এডিবি লোন রিভিউ মিশন কর্মকর্তাদের সাথে কেসিসি কর্মকর্তাদের সভা মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার।  
বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এলজিইডি’র অধীনে কেসিসি’র সলুয়া ল্যান্ডফিল্ডে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এডিবি লোন মিশনের কর্মকর্তা ছাড়াও প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প কর্মকর্তা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
সভাপতির বক্তৃতায় কেসিসি প্রশাসক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবের দিক থেকে খুলনা অন্যতম একটি শহর। উপক‚লীয় এ অঞ্চলে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ শহরে উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নগর ব্যবস্থাপনাও জটিল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এর মধ্যে সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি অন্যতম। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে দৈনন্দিন বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে বলে তিনি উলে­খ করেন। 
উলে­খ্য, বর্জ্য থেকে সার, বায়োগ্যাস ও ডিজেল উৎপন্ন করার লক্ষ্যে নিয়ে কেসিসি’র শলুয়া ল্যান্ডফিলে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট এবং ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়েট এ্যাপ্রোচ রোডের কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্লান্টটি চালু হলে দৈনিক ৩৭৫ টন বর্জ্য রিসাইক্লিং করা সম্ভব হবে। 
কেসিসি প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটি সকল পক্ষের সাথে পরামর্শ করে এবং গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিচুজ্জামান ও শেখ মোঃ মাসুদ করিম, দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হামিদুল হক, প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল­াহ আল মামুন, এডিবি মিশনের সেফগার্ড অফিসার (এনভায়রনমেন্ট) নাহিদ হুসাইন, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা উর্মি ভট্টাচার্য, প্রোকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট শিশির কুমার শীল, সোসাল সেফগার্ড এক্সপার্ট মামুন অর রশিদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহবুবুর রহমান, প্রকল্পের ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রুবেল আলী, মোঃ পারভেজ, মোঃ সোহেল রানা ইয়াছিন, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সজল সাহা প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।