খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২২ মে ২০২৫ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শিরোমণিতে ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক মিরাজুলের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি |
০২:০৬ এ.এম | ২২ মে ২০২৫


খুলনা ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রাখালী শিরোমণি বাজার শাখার পরিচালক শেখ মিরাজুল ইসলামের প্রায় ৪ কোটি আত্মসাতের প্রতিবাদে ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় শিরোমণি ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পক্ষ থেকে লিখিত সম্মিলিত তথ্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক রোজিনা সুলতানা। এ সময় তিনি বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক একটি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান যার সুনাম রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ব্যাংকের সুনামের  কারণে আমরা প্রায় ৬০ জন গ্রাহক প্রায় ৪ কোটি টাকা ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রাখালী শাখায় এফডিআরসহ নানাবিধ ডিপোজিট করি। ডিপোজিটের বিপরীতে পরিচালক শেখ মিরাজুল ইসলাম আমাদের তার ব্যক্তিগত ডাচবাংলা ব্যাংকের চেক প্রদান করে যা আমরা তখন বুঝতে পারিনি এটা তার ব্যক্তিগত চেক। আমরা মনে করি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা জমা হয়েছে। আমাদের প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকার বিপরীতে এক হাজার করে লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল প্রতারক মিরাজুল ইসলাম। এই প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী পরশিয়া আশরাফি, শেখ শহিদুল ইসলাম, মিরাজের  ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রোমানা রহমান লিন্ডা, লিন্ডার মা রশিদা বেগম মিরাজের বড় বোন ফাতেমা আক্তার মিনা। এদের নামে বেনামে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক একাউন্ট তল­াশি করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে। খানজাহান আলী থানা সিআর মামলাসহ ১২টি মামলা প্রতারকদের বিরুদ্ধে চলমান। প্রতারক চক্রের মাস্টারমাইন্ড মিরাজুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্ম নামে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন জুয়েল, নবীর হোসেন, মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী পরশিয়া আশরাফি জেল হাজতে রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।  
এজেন্ট ব্যাংকিং এর নীতিমালা প্রনয়নে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের পাওনা টাকা দ্রুত আদায়ের দাবি করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে হালিফা খাতুন, খালেদা আক্তার, খুরশিলা আক্তারসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো অনেকে বক্তৃতা করেন।