খুলনা | রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২

বেনাপোল বন্দরে সংগনিরোধ ল্যাব বন্ধ ৬ মাস, হচ্ছে না ভাইরাস টেস্ট বে

নাপোল প্রতিনিধি |
০২:৩৭ এ.এম | ২৪ মে ২০২৫


বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবনের আন্তর্জাতিকমানের ল্যাবে গত ৬ মাস ধরে জনবল না থাকার কারণে খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি বীজের মান নির্ণয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে আমদানিকৃত কৃষিজাত পণ্যের ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা বন্ধ থাকায় দেশের কৃষিক্ষাত ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনবল নিয়োগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪শ’টি ট্রাক পণ্য আসে, যার মধ্যে শতাধিক ট্রাক বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি বীজ। এসব পণ্যের গুণগতমান এবং ভাইরাস মুক্ত কিনা তা নির্ণয়ের জন্য ল্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ল্যাবে আগে একজন টেকনিশিয়ান কাজ করলেও প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এর ফলে ল্যাব জনশূন্য হয়ে পড়ে এবং মান নির্ণয় কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘আমদানি হওয়া কৃষিপণ্য এখানে পরীক্ষা করাতে না পারায় অতিরিক্ত সময় ও খরচ হয়। দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে ল্যাব চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল­াহ জানান, ‘ভারত থেকে বিভিন্ন গাছের চারা, ফল ও বীজ আমদানি হয়। ল্যাব অচল থাকায় ভাইরাসযুক্ত কৃষিবীজ আমদানি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই ল্যাব সচল রাখা জরুরি।’
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ‘একজন মাননির্ণয়ক টেকনিশিয়ান দীর্ঘ ৭ মাস আগে বদলি হওয়ায় ল্যাব বন্ধ রয়েছে। ভাইরাসযুক্ত বীজ দেশে প্রবেশ করলে কৃষি ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হতে পারে। বর্তমানে সন্দেহভাজন বীজ পরীক্ষায় দেরি হচ্ছে, যা পণ্যের ছাড়করণ প্রক্রিয়ায় বিঘœ ঘটাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে ল্যাব পুনরায় চালু করতে হবে, যাতে দেশের কৃষিখাত সুরক্ষিত থাকে।