খুলনা | সোমবার | ২৬ মে ২০২৫ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আগামী বাজেটে এসি ও ফ্রিজের দাম বাড়ার আশঙ্কা

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৫ এ.এম | ২৬ মে ২০২৫


আগামী অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) দাম বাড়তে পারে। বাজেট প্রস্তাবে দেশি এসব পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হার দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশীয় ভাবে উৎপাদিত ফ্রিজ ও এসির ওপর কারখানা পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে এই হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে এসি ও ফ্রিজের দাম উলে­খযোগ্য ভাবে বাড়তে পারে।
জাতীয় বাজেট আগামী ২ জুন উপস্থাপন করা হবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে এই বাজেট ঘোষণা করবেন। বাজেট বক্তৃতায় শুল্ক ও কর কাঠামোর পরিবর্তনগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, দেশীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ভ্যাট মূলত উৎপাদন পর্যায়ে আরোপ করা হয়। প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে উৎপাদকরা ‘ইনপুট ভ্যাট’ রেয়াত সুবিধা নিতে পারবেন। কারণ, এসি ও ফ্রিজ তৈরির অধিকাংশ যন্ত্রাংশ বা উপাদান সরবরাহ হয় ভ্যাট পরিশোধিত উৎস থেকে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এসি ও ফ্রিজের ওপর ভ্যাট হার ছিল ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে তা বাড়িয়ে করা হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। এবার এই হার আবার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে দেশের বাজারে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, এসকোয়্যার, ট্রান্সকম, সিঙ্গার, বাটারফ্লাই, র‌্যাংগ্স, মিনিস্টার, ভিশন, এলজি ও ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দেশীয় ভাবে এসি ও ফ্রিজ উৎপাদন ও বিপণনে সক্রিয় রয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এসির বাজারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে। শহরাঞ্চলে বিদেশি ব্র্যান্ডের কিছুটা উপস্থিতি থাকলেও মফস্বল ও গ্রামীণ বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর আধিপত্য লক্ষণীয়। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কমদামে সহজলভ্যতা ও সহজ সার্ভিস সুবিধা।
প্রতিবছর দেশে গড়ে ৬ থেকে ৭ লাখ এসি বিক্রি হয়, এবং এই খাতে চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ফ্রিজের ক্ষেত্রে দেশে প্রতিবছর গড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ ইউনিট বিক্রি হয়। এতে ওয়ালটনসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় অবস্থান বজায় রয়েছে।
ভ্যাট হার দ্বিগুণ হলে দেশীয় এই শিল্পে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে বাজার চাহিদায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।