খুলনা | শনিবার | ০৭ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উপকূলে ভেড়িবাঁধ রক্ষায়

কয়রায় ভেড়িবাঁধে বসানো অবৈধ পাইপ উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

কয়রা প্রতিনিধি |
১১:৫৪ পি.এম | ০৪ জুন ২০২৫


কয়রায় ভেড়িবাঁধ রক্ষায় ভাঙনকবলিত এলাকার ভেড়িবাঁধ ছিদ্র করে বসানো অবৈধ পাইপ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার সাড়ে ১০ টায় উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ পোল্ডারের হাজত খালি এলাকা থেকে কাটমারচর খেয়া ঘাট পর্যন্ত ৩০টি অবৈধ পাইপ পানি উন্নয়ন বোর্ড, যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদিন। 
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩২ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। ৯ কিলোমিটার দুর্বল ভেড়িবাঁধ হওয়ায় তা সংস্কার এবং পুনর্র্নিমাণের জন্য ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সংস্কারের আগেই বড় কোনো দুর্যোগ এলেই এ বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ অবস্থার মধ্যেও স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে ভেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে লবণ পানির চিংড়ি ঘের করছেন।
উপজেলায় ভেড়িবাঁধে মোট পাইপ বসানো আছে ২৮০ টি। ইতিমধ্যে  কয়েক ধাপে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৯০টি। বর্তমানে পাইপ আছে ১৯০ টি। উপজেলায় যত্রতত্র ভেড়িবাঁধ কেটে ও ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে নোনাপানি উঠিয়ে চলছে চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা। কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদীবেষ্টিত উপজেলায় ১৩২ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধের ২ শতাধিক জায়গায় ভেড়িবাঁধ কেটে, ছিদ্র করে অবৈধ ভাবে পাইপ বসানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভেড়িবাঁধ। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। মানুষ বসতভিটা হারানোর পাশাপাশি নোনাপানির বিরূপ প্রভাবে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদ সম্পদ।
পাউবো’র খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম  বলেন, ভেড়িবাঁধ রক্ষা ও ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে লবণ পানি বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা এলাকায় ভেড়িবাঁধ কেটে লবণ পানি তুলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। ভেড়িবাঁধ ছিদ্র না করতে বারবার মাইকিং করেছি। তারপরও কিছু প্রভাবশালী মহল ভেড়িবাঁধ কেটে লবণ পানি প্রবেশ করিয়ে মৎস্য চাষ করছে। তাই ভেড়িবাঁধ রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যৌথ বাহিনী  ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ভেড়িবাঁধে অবৈধ পাইপ উচ্ছেদ শুরু হয়েছে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। ঈদের পর সব অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হবে।