খুলনা | রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কালীগঞ্জে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি |
১১:২২ পি.এম | ১৩ জুন ২০২৫


“আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজদের ঠাঁই নাই” এ স্লোগানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন উপজেলা শাখা। শুক্রবার বিকালে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। মানববন্ধনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী ব্যবসায়ী নেতা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। 
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি হুসাইন আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। তাই সাবধান করতে চাই, আগামি এক মাসের মধ্যে যদি শহরের চাঁদাবাজি বন্ধ না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, মুখ্য সংগঠক এজাজুর রহমান আব্দুল­াহ, বৈশাখী টিভির ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু, ঝিনাইদহ জেলা টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, ছাত্র শিবির কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল হাসনাত মর্তুজা, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউস সোবহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ আরো বলেন বিশেষ করে কারীগঞ্জ শহরের রাস্তা এবং ফুটপাতের উপর বসা দোকানগুলো থেকে পৌরসভার টোল আদায়ের নামে যে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। একই সাথে ফুটপাত এবং রাস্তা দখলমুক্ত করারও দাবি জানাই বক্তাগণ।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, এ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত স্থানীয় পৌর প্রশাসক দিদারুল ইসলাম। সবাইকে ম্যানেজ করে একটি চক্রকে দিয়ে তোলা হয় এই চাঁদার টাকা। রাস্তার উপর ভাসমান দোকান ও যানবাহনের চালকদের দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। কারো কারো কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকাও আদায় করছে এ চক্রটি। তাছাড়া সড়কে দোকানপাট বসানোর কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক দিদারুল ইসলাম বলেন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী এসব যানবাহন থেকে চাঁদার টাকা আদায় করতে পৌরসভা থেকে কাউকেই ইজারা দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রাস্তার উপর ভাসমান দোকানদারদের হস্তান্তর করা হবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।