খুলনা | রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২

তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০ শিশুসহ নিহত ৬০, আহত শতাধিক

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৪২ পি.এম | ১৪ জুন ২০২৫


ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি হামলায় ২০ শিশুসহ প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে শুরু হওয়া এই হামলা ছিল ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর তৃতীয় দফা আক্রমণ।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। এটিকে এখন পর্যন্ত ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। অভিযানে অন্তত ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালানো হয়।

হামলার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের প্রথম দফা হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

বেসরকারি হিসাবেও দেখা গেছে, হতাহতের সংখ্যা সরকারি ঘোষণার চেয়ে বেশি হতে পারে। অনেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৭৮ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহতের সংখ্যা ৩৩০ এর কাছাকাছি।

হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, সামরিক ইনস্টলেশন এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এসব হামলার ফলে ইরানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। তার মতে, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংস করা।

অন্যদিকে, ইরান সরকার তাদের নাগরিকদের প্রতি দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা এ হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো ধরনের সংঘর্ষ যাতে আরও বিস্তৃত না হয়, সে জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।